ফেস রেকগনিশন বাধ্যতামূলক! আধার প্রমাণীকরণে জুড়ল অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্তর
ইউআইডিএআই আধার প্রমাণীকরণের জন্য ফেস রেকগনিশন বাধ্যতামূলক করছে।
আধারে জুড়ল বাড়তি নিরাপত্তা স্তর - ফেস রেকগনিশন। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই জানিয়েছে এবার থেকে মোবাইলের সিম, ব্যাঙ্ক, পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, সরকারি অফিসে হাজিরার মত, যেসব জায়গায় আধার অথিন্টিকেশনের দরকার হয়, সেসব জায়গায় ফেস রেকগনিশনও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:বিরোধী শিবিরে ধাক্কা, পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় সুপ্রিম কোর্টের]
এতদিন অবধি আধারে সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট হিসেবে আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান করা হত। এবার তার সঙ্গে বাড়তি অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়া হিসেবে জুড়ল ফেস রেকগনিশন। ইতিমধ্যেই অথেন্টিকেশন ইউসার এজেন্সি ও অথেন্টিকেশন সার্ভিসস এজেন্সিগুলির কাছে এ নিয়ে সার্কুলার পাঠিয়েছে ইউআইডিএআই।
এই নয়া নির্দেশ না মানা হলে তাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গন্য করা হবে। সূত্রের খবর সেক্ষেত্রে ২০১৬ সালের আধার অ্যাক্টের ৪২ ও ৪৩ ন্মবর ধারা অনুযায়ি জরিমানা ও জেল হতে পারে।
ইউআইডিএআই জানিয়েছে এই নয়া বৈশিষ্ট যুক্ত করা হল, আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে আধার প্রক্রিয়ার আওতায় আনার লক্ষ্যে। ইউআইডিএআই-এর সিইও অজয় ভূষণ পান্ডে জানিয়েছেন, 'অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বয়সের কারণে বা কায়িক শ্রম বা কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য অনেক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর জন্য তাঁরা আধার অথেন্টিফিকেশনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ফেসিয়াল রেকগনিশন এই ব্যক্তিদের আধার অথেন্টিফিকেশনের আওতায় আনতে কাজে আসবে।'
জানা গিয়েছে এই নয়া অথেন্টিকেশন প্রসেস কয়েকটি ফেজে চালু করা হবে। প্রাথমিকভাবে টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য ফেসিয়াল রেকগনিশন ব্যবস্থা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকেই টেলিকমম সংস্থাগুলিকে এই নয়া ব্যবস্থা চালু করতে হবে। প্রত্যেক মাসে মোট অথেন্টিকেশন ট্রান্সাকশনের অন্তত ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ফেস রেকগনিশন ফিচার ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায় প্রতি ট্রান্সাকশন পিছু ২০ পয়সা করে জরিমানা করা হবে।
[আরও পড়ুন: আবহাওয়ার ভেলকি! কেরলে বন্যা অথচ দক্ষিণ ভারতের বহু জেলায় দেখা দিয়েছে খরার আশঙ্কা]
ইউআইডিএআই-এর তরফে জানানো হয়েছে ফেস রেকগনিশন সাম্প্রতিকতম প্রযুক্তি। এবং প্রথমে ওই ১০ শতাংশ করে এই নয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা হবে এই ব্যবস্তায় কোনও ঘাটতি থেকে গিয়েছে কিনা। থাকলে তা দূর করে তারপর টেলিকম পরিষেবা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাকে কার্যকর করা হবে।
[আরও পড়ুন:কেরলে ভয়াবহ বন্যার আসল কারণ এতদিনে সামনে এল, সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল রাজ্য সরকার]
কিভাবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা? ইউআইডিএআই জানিয়েছে বর্তমানে যেভাবে পরিষেবা দানের ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ ও আইরিশের স্ক্যান করা হয়, তারসঙ্গেই গ্রাহকের একটি ছবিও তোলা হবে। তারপর সেই ছবি স্ক্যান করা তথ্যের সঙ্গে পাঠানো হবে ইউআইডিএআই-এর কাছে। তারা তাদের তথ্যভান্ডারের সঙ্গে সেগুলি মিলিয়ে দেখে গ্রাহকের অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করবে।