গ্লুকোমা হতে পারে বায়ু দূষণের জন্য, দাবি নতুন সমীক্ষার
গ্লুকোমা হতে পারে বায়ু দূষণের জন্য, দাবি নতুন সমীক্ষার
বায়ু দূষণের জন্য হতে পারে চোখের ছানির জটিল অবস্থা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে উচ্চতর পরিমাণে সূক্ষ্ম কণা পদার্থযুক্ত দূষণের জায়গাগুলিতে ৬ শতাংশ বেশি বাসিন্দাদের চোখের ছানি হয়। সেই তুলনায় স্বল্প দূষিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে, 'ইনভেসটিগেটিভ অপথালমোলজি অ্যান্ড ভিস্যুয়াল সায়েন্স, ২০১৯’–এ।
এই গবেষণার নেতৃত্বাধীন লেখক ও ইউসিএল চোখের হাসপাতালের অধ্যাপক পল ফস্টার বলেন, 'বায়ু দূষণের সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য কেন জড়িয়ে রয়েছে তার আরও একটি কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি। অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্যকেও ঠিক রাখতে বায়ু দূষণ এড়িয়ে চলা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, 'যদিও আমরা এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না, কারণ গবেষণাটি প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী যে আমাদের গবেষণার মধ্য দিয়ে জানতে পারব যে আদৌও চোখের ছানির জন্য বায়ু দূষণ কতটা দায়ি।
সেটা এড়িয়ে চলার কোনও কৌশল রয়েছে কিনা, যাতে মানুষ বায়ু দূষণের ভয়াবহতা থেকে নিজেদের চোখকে রক্ষা করতে পারে, তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’ চিরতরে অন্ধত্ব হওয়ার শীর্ষে রয়েছে ছোখের ছানির জটিল অবস্থা এবং বিশ্বের প্রায় ৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানু্ষ এতে আক্রান্ত। গ্লুকোমা যাঁদের হয় তাঁদের চোখের মধ্যে থাকা তরলের ওপর চাপ বাড়তে থাকে, যার ফলে চোখের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপনকারী অপটিক স্নায়ুটির ক্ষতি হয়। এই গ্লুকোমা একটি স্নায়ুজনিত রোগ।
ফস্টার বলেন, 'গ্লুকোমার ধুঁকি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। বৃদ্ধ বয়সে বা বংশগতভাবেও এই রোগের শিকার হতে পারেন অনেকে। তবে গ্লুকোমার ঝুঁকি অনেকটাই কম হতে পারে যদি চোখের ওপর চাপ কম পড়ে। সেটা আমাদের জীবনধারা, চিকিৎসা ও নীতি বদলের ফলে অনেকটাই সহায়তা করবে বলে আমি মনে করি।’