ফের বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত কেরল, ফের অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে এক বছর আগের আতঙ্ক উঁকি মারছে
একবছর আগের স্মৃতি যেন বারবার তাড়া করছে কেরলকে। ফের এবছর অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভগবানের আপন দেশে।
একবছর আগের স্মৃতি যেন বারবার তাড়া করছে কেরলকে। ফের এবছর অতি বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভগবানের আপন দেশে। উত্তরের জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে কেরলে ২০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ইতিমধ্যে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ ওয়ানাডে ধস নেমে ত্রিশ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।
|
কেরলে বেশ কয়েক কোম্পানি সেনা নেমে গিয়েছে। আলেপ্পি, পতনমতিত্তা ও এরনাকুলামে নামানো হয়েছে সেনা। জেলা প্রশাসন এক্ষেত্রে সেনাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে। দুই কোম্পানি সেনা স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের নামানো হবে।
|
গত দুদিনে কান্নুরে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভালাপট্টনম নদী ও তার শাখাগুলি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
|
কেরলে বন্যার জেরে মোট দশটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সবকটি ট্রেনই এরনাকুলাম থেকে আসা অথবা যাওয়ার ছিল।
|
আবহাওয়া দফতর কেরলের ৯টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। জেলাগুলি হল - এরনাকুলাম, ইড়ুক্কি, ত্রিসার, পালাক্কড়, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়ানাড, কান্নুর ও কাসারগোড়। এর মধ্যে ইড়ুক্কি, পালাক্কড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে অত্যধিক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
|
মালাপ্পুরম, মঞ্জেরি ও ওয়ানাডে আবার ভূমি ধস শুরু হয়েছে অত্যধিক বৃষ্টির ফলে। সবমিলিয়ে মোট ৩১৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রায় ২৩ হাজার মানুষ তাতে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে ওয়ানাডেই ১০৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
[বন্যার কবলে দক্ষিণ ভারত, বিধ্বস্ত জনজীবন, দেখুন ফটোগ্যালারি]