দেশীয় চাহিদার সাথে বাড়ছে রফতানির পরিমাণ, মার্চের আগেই কাটবে মন্দার মেঘ, আশাবাদী নির্মলা
দেশীয় চাহিদার সাথে বাড়ছে রফতানির পরিমাণ, মার্চের আগেই কাটবে মন্দার মেঘ, আশাবাদী নির্মলা
করোনা ধাক্কায় ধুঁকেছে গোটা দেশ। বেহাল অবস্থা অর্থনীতি। বড় ধাক্কা জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও। এদিকে সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২৩.৯ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হয়েছে। এমতাবস্থায় করোনা সঙ্কটে গোটা দেশই যে বর্তমানে তা বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে তা মানলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
দেশীয় চাহিদার সাথে বাড়ছে রফতানির পরিমাণ
অর্থমন্ত্রীর আশা চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে ফের ঘুরে দাঁড়াবে দেশীয় অর্থনীতি। তাঁর কথায় লকডাউন উঠতেই বিভিন্ন রাজ্যেই প্রায় বেশিরভাগ কলকারখানাই খুলে গেছে, আঞ্চলিক ক্ষেত্রে চাহিদাও বাড়ছে ধীরে ধীরে। একসাথে রফতানির ক্ষেত্রেও প্রত্যাশার থেকেও অনেকটাই বেড়েছে চাহিদা। এই সমস্ত তথ্য মাথায় রেখেই নির্মার দাবি আগামী মার্চের আগেই ফের ঘুরবে অর্থনীতির বসে যাওয়া চাকা।
করোনা মোকাবিলায় ফের আর্থিক প্যাকেজ ?
এদিকে করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। ছোট, বড়, মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি কৃষক সহ সমস্ত অংসগঠিত ক্ষেত্রেও সরকারি সাহায্যের কথা বলা হয় কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু ন্দা ঠেকাতে এই প্যাকেজও বিশেষ সহায়ক হয়নি বলে মত প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন সহ একটা বড় অংশের অর্থনীতিবদদের। এদিকে সদ্য সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাতকারে অর্থমন্ত্রী জানান প্রয়োজন পড়লে এই জাতীয় প্যাকেজ আরও বরাদ্দ করতে প্রস্তুত সরকার।
৯ শতাংশের কাছাকাছি জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস
অন্যদিকে চলতি অর্থবর্ষেই ভারতের জিডিপির ৯ শতাংশের কাছাকাছি সামগ্রিক সঙ্কোচনের পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যঙ্ক বা এডিবি। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েও উদ্বেগের সুর শোনা যায় নির্মলার গলায়। এদিকে বর্তমান চিত্রে দেখা যাচ্ছে করোনা ধাক্কায় সবথেকে খারাপ অবস্থা পরিষেবা শিল্পের। এদিকে সামগ্রিক ভাবে এই ক্ষেত্রে থেকেই জিডিপিতে অবদান প্রায় ৫৫ শতাংশের কাছাকাছি। যদিও নির্মলার দাবি ধীর গতিতে হলেও অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
আত্মনির্ভর ভারতে জোর
করোনা পরিস্থিতি সামলে মন্দা ঠেকাতে এদিন ফের মোদীর আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের উপরও জের দিতে দেখা যায় নির্মলাকে। তবে তাঁর মতে পরিযায়ী শ্রমিকরাও তাদের কাজে ফিরে আসছে। চাঙ্গা হচ্ছে শিল্পক্ষেত্র গুলি। তবে যতদিন না কোনও কার্যকরী ভ্যাকসিনের দেখা মিলছে ততদিন যে এই সঙ্কট পুরোপুরি কাটবে না তা এদিন এক কথায় স্বীকার করে নেন তিনি। তবে বিদেশি চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দেশীয় চাহিদাও আবার আবার বাড়তে থাকায় নতুন উদ্যোমে কলকারখানা গুলিতে ফের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে দানবীয় মাদক চক্র জাল ছড়াচ্ছে নীতীশ রাজ্যে! ভোট চ্যালেঞ্জে সরকার