আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে চুরি যাওয়া এসইউভি মুম্বই পুলিশের কাছে ছিল, দাবি মৃত গাড়ি মালিকের স্ত্রীর
আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে চুরি যাওয়া এসইউভি মুম্বই পুলিশ সচিন ভেজের কাছে ছিল
চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল মুকেশ আম্বানি বোমাতঙ্ক কাণ্ডে। আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ির মালিক মৃত মনসুখ হিরেনের স্ত্রী বিমলা হিরেন দাবি করেছেন যে ওই চুরি যাওয়া গাড়িটি গত তিনমাস ধরে মুম্বই পুলিশ অফিসার সচিন ভেজের কাছে ছিল। তিনি নিদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ওই গাড়িটি গত নভেম্বর থেকে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। মুম্বই এটিএসের কাছে এমনই বয়ান দিয়েছেন হিরেনের স্ত্রী।
অটো পার্টসের ডিলার মনসুখ হিরেনের দেহ যখন উদ্ধার হয় তখন তাঁর মুখের মধ্যে পাঁচ থেকে ছ’টি রুমাল গোঁজা ছিল এবং তাঁর দেহ গত ৫ মার্চ মুম্বরা খাঁড়ি থেকে উদ্ধার হয়। এর আগে তিনি এই মামলার বিষয়ে তদন্তের জন্য এক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেখা করার জন্য অফিস থেকে বের হয়েছিলেন। বিমলা হিরেন তাঁর মারাঠি বয়ানে পুলিশকে জানিয়েছেন যে তাঁর তীব্র সন্দেহ রয়েছে ভেজের ওপরই যে সেই তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। বিমলা হিরেন এও দাবি করেন যে ভেজ তাঁর স্বামীকে এই মামলায় নিজে থেকে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং তাঁকে কিছুদিনের মধ্যে জামিন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। মনসুখ হিরেনের স্ত্রীয়ের বয়ানের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
বিমলা পুলিশের কাছে আরও দাবি করেন যে তাঁর স্বামী এ বিষয়ে তাঁর মতামত চেয়েছিলেন। সচিন ভেজ বর্তমানে ক্রাইম ইন্টালিজেন্ট ইউনিটের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর এবং তিনি আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভর্তি এসইউভি গাড়ি উদ্ধারের তদন্তকারী অফিসারও। তবে কোনও কারণ ছাড়াও তাঁকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মঙ্গলবার বিধানসভায় হিরেনের মৃত্যুর জন্য ১০২ ধারার অধীনে ভেজের গ্রেফতারি দাবি করেন। তিনি বলেন, 'সচিন ভেজের শাস্তি হওয়া উচিত। আপনারা তাঁকে প্রমাণ লোপাটের সুযোগ করে দিচ্ছেন। তার কারণ তিনি যেহেতু নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের (শিবসেনাকে উল্লেখ করে) তাই তাঁকে সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে।’ সোমবারই এই ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এনআইএকে দেওয়া হয়।