জুন থেকে মিষ্টির জন্যও আসছে ‘এক্সপায়ারি ডেট’
জুন থেকে মিষ্টির জন্যও আসছে ‘এক্সপায়ারি ডেট’
এবার মিষ্টির জন্যও আসতে চলেছে ম্যানুফ্যাকচারিং ও এক্সপায়ারি ডেটের সময়সীমা। সম্প্রতি এই নতুন নিয়ম কার্যকর করার ঘোষণা করেছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
১ লা জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন নিয়ম
সূত্রের খবর, আগামী ১ জুন থেকে খুচরো ও পাইকারি মিষ্টি বিক্রির ক্ষেত্রে কবে কোনো মিষ্টি তৈরি হয়েছে এবং কতদিন পর্যন্ত তা খাওয়া যাবে তা জানাতে বাধ্য থাকবে মিষ্টি বিক্রেতারা। ২০০৬ সালের কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই।
দাম বাড়ার আশঙ্কা বিক্রেতাদের
এদিকে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার এই নির্দেশের পরেই মিষ্টির দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। কারণ এতদিন একমাত্র প্যাকেজড্ মিষ্টির কন্টেনারের উপরেই মিষ্টি তৈরির দিন এবং কতদিন পর্যন্ত সেটা খাওয়া যেতে পারে সেটা লেখা থাকত। এবার তা খুচরো মিষ্টির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে গেলে বাড়তি গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে বিক্রেতাদের। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ তাদের।
ক্রেতাদের সচেতনতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন
অনেক ক্রেতাই মিষ্টি কিনে নিয়ে যাওয়ার পরে বাড়িতে দীর্ঘদিন রেখে দেন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের পরে সেই মিষ্টি খেলে যদি তাঁর শরীর খারাপ করে তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে সেই প্রশ্ন তুলছেন শহরের অনেক মিষ্টি বিক্রেতাদেরই।
মার্চেই এফএসএসএআই-এর সঙ্গে বৈঠকে বাংলার মিষ্টি বিক্রেতারা
এদিকে সূত্রের খবর, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এই রাজ্যের মিষ্টান্ন বিক্রেতারা দিল্লিতে এই বিষয়ে এফএসএসএআই-এর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মিষ্টির মান সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে কম্পিউটারাইজড ট্যাগের মাধ্যমে মিষ্টি বিক্রি করতে গেলে তার দাম ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মত অনেকেরই। পরোক্ষভাবে এর প্রভাব ক্রেতাদের উপরেি পড়বে বলে মত তাদের।