কর্বেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্স নিয়ে আলোচনার পথে বিশেষজ্ঞদের শীর্ষ প্যানেল, মজুত হচ্ছে টিকাও
কর্বেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্স নিয়ে আলোচনা
করোনা প্রতিরোধে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে মানুষকে। করোনার বিরুদ্ধে সীমিত জরুরি ব্যবহারের জন্য কর্বেভ্যাক্স ও কোভোভ্যাক্সকে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক ফার্ম বায়োলজিক্যাল-ই টিকা কর্বেভ্যাক্স। ভারতের সর্বোচ্চ ল্যাব, সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে প্রায় ৬ কোটি কর্বেভ্যাক্স স্টক করা হয়েছে।
কর্বোভ্যাক্স নিয়ে গবেষণা
করোনা টিকার ক্ষেত্রে ভারতে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোর কিশোরীদের করোনা টিকা হিসেবে কোভ্যাকসিনকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। কর্বোভ্যাক্স ভ্যাকসিনটিকে বর্তমানে উৎপাদনকারী সংস্থা মজুত করছে। তার কারণ সরকার এখনও এই ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করার বিষয়ে কোনো পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
করোনা প্রতিরোধে করতে ভারতে ব্যবহৃত সমস্ত ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশের কাসৌলিতে অবস্থিত সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে। এটির নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা পরীক্ষা করার পর গত তিন মাসে এটি ৬ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিনের স্টক করেছে।
মজুদ হচ্ছে কোভোভ্যাক্সও
কর্বোভ্যাক্স ছাড়াও ওই পরীক্ষাগারে ৬ কোটির বেশি কোভোভ্যাক্স মজুত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধ করতে জনসন্স এন্ড জনসন্স একটি ডোজের একটি টিকার ব্যবস্থা করেছে। এই টিকার ১.৮৫ কোটি ডোজ মজুত করা হয়েছে পরীক্ষাগারে।
শিশুদেহে কোন টিকা?
শিশুদের শরীরে কোন টিকা বেশি কার্যকরী হবে, তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ইন ইন্ডিয়াএবং বিশেষজ্ঞদের শীর্ষ প্যানেল। কর্বোভ্যাক্স এবং কোভোভ্যাক্স ব্যবহার নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করার জন্য শুক্রবার বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে দেশের টিকাকরণের ক্ষেত্রে এই দুটো টিকার একটাও চালু করা হয়নি। তার কারণ ভারতীয় জনসংখ্যার বেশিরভাগেরই কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের শীর্ষ প্যানেলের একজন সদস্য জানিয়েছেন, এই নতুন ভ্যাকসিন এর ব্যবহার শুধুমাত্র শিশুদের মধ্যে বা বুস্টার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সমীক্ষা
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সমীক্ষা দেখা গিয়েছে, যে ওমিক্রন সংক্রমণ ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি মানবদেহে অনেক বেশি অ্যান্টিবডি বা ইমিউন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। কোভ্যাকসিনের সঙ্গে সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করার পর যদি এই নতুন টিকা দুটি অনুমোদিত হতে পারে, তাহলে টিকাকরণ এর ক্ষেত্রে গতি আসবে। তার কারণ ভারতে কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বর্তমানে সীমিত। কোভোভ্যাক্স ও জনসন এন্ড জনসন এর ভ্যাকসিন দুটি বর্তমানে রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।