জনসচেতনতা না বাড়লে কাজ হবেনা নৈশ কার্ফুতেও! সঙ্কটের মাঝে করোনা টেস্টেই জোর বিশেষজ্ঞদের
জনসচেতনতা না বাড়লে কাজ হবেনা নৈশ কার্ফুতেও! সঙ্কটের মাঝে করোনা টেস্টেই জোর বিশেষজ্ঞদের
দেশ জুড়ে উৎসবের মেজাজ কাটতে না কাটতেই ফের মাথা চারা দিতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে লাগাম টানতে বেশ কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই চালু করেছে নৈশ কারফিউ। কিন্তু শুধুমাত্র নৈশ কারফিউ জারি করে আদৌও যে করোনা ঠেকানো যাবেনা, সেরকমটাই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তবে করোনা সংক্রমণে এখনই রাশ টানতে না পারলে সামনের মাসে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে মত তাদের।
করোনা রুখতে নাইট কার্ফু জারি গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে রাত ১০টা থেকে সকল ৬টা পর্যন্ত নৈশ কারফিউ জারি করা করেছে। আমেদাবাদ, সুরাট, রাজকোট, ভাদোদারা, ভোপাল, ইন্দোর, গোয়ালিওর, জয়পুর, যোধপুর, কোটা, বিকানের, উদয়পুর, আজমের, আলওয়ার, ভিলওয়ারর মতো শহরগুলিতে জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ।
জরুরি পরিষেবা বাদে প্রায় সবক্ষেত্রেই কার্যকর নৈশ কারফিউ
ওষুধের দোকান, দুধের দোকান প্রভৃতি বাদ দিয়ে প্রায় সব ক্ষেত্রেই বলবৎ থাকছে নৈশ কারফিউ। বাজার ঘাট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজস্থান সরকার। আজ নতুন করে নৈশ কার্ফু জারি করেছে হিমাচলপ্রদেশও।
প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম করোনা পরীক্ষা
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীপাবলির সময় দৈনিক করোনা টেস্টের হার কম হওয়ায় খাতায় কলমে সংক্রমণের হারও কিছুটা নিম্নগামী ছিল। সুরাট, জয়পুর ভোপালের মতো বেশ কিছু শহরে সাধারণত দৈনিক চার হাজার থেকে ছয় হাজার করোনা পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু দিপাবলীর সময় দৈনিক করোনা পরীক্ষার হার কমে দাঁড়ায় তিন হাজারের নীচে। এমতাবস্থায় বর্তমানে ফের দৈনিক এগারো থেকে বারো হাজার করোনা টেস্ট হওয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। তবে নাইট কার্ফুর মাধ্যমের করোনাকে কতটা আটকানো যাবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন অধ্যাপক তথা কমিউনিটি মেডিসিনের প্রধান ডিসিএস রেড্ডি।
শুধু মাত্রই কার্ফু না, প্রয়োজন সচেতনতা
এদিকে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিকিৎসক তথা মহামারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ তন্ময় মহাপাত্র বলেন, " এই ধরণের বিধিনিষেধগুলি প্রধানত সীমিত সময়ের জন্য উপযোগী হতে পারে। বিশেষ করে যারা জনাবহুল এলাকায় যায়, তারা বাড়ির মধ্যে সংক্রমণ বয়ে নিয়ে আসে। যার ফলে বাড়ির সদস্যদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ সম্ভাবনা বাড়ে।" তবে শুধুমাত্রই কার্ফু জারি করেই নয়, পরবর্তী আরও বেশি করে করোনা পরীক্ষা এবং জনগণকে প্রতিনিয়ত সচেতন না করলে কোভিড সংক্রমণ আটকানো যাবেনা বলেই মত ডাঃ মহাপাত্রের।
ব্যারাকপুর এখন 'গ্যাংস অব ওয়াসিপুর', পুলিসকে চুড়ি পরে থাকার পরামর্শ অগ্নিমিত্রার