৩ লক্ষ সংক্রমণের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করা কার্যত বৃথা,মত বিশেষজ্ঞদের
৩ লক্ষ সংক্রমণের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করা কার্যত বৃথা, মত বিশেষজ্ঞদে
ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ সংক্রমণের কাছাকাছি চলে গেছে ভারত। পাশাপাশি একদিনে দ্রুত সংক্রমণের নিরিখে আমেরিকার ঠিক পরেই জায়গা করে নিয়েছে ভারত। ১১ জুন রাত ২:৪৫ মিনিটে র রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে ভারতে একদিনে করোনা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২,৩৭৫ জন। আমেরিকায় সেই সংখ্যা ১৬ হাজারের আশেপাশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমতাবস্থায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করা কার্যত বৃথা।
গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার না করায় আরও কঠিন হয়েছে করোনা প্রতিরোধ
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বারংবার দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করে গেছে। মহামারি বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই অপব্যাখা ও ভ্রান্ত ধারণার জেরেই দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে উঠবে। এদিকে ২৫ শে মার্চ থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন সত্ত্বেও, গোট দেশ ক্রমেই তিন লক্ষের গণ্ডির দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়েছে।
এই মুহূর্তে কেমন আছে ভারত ?
বুধবার পর্যন্ত দেশে মোট ২,৭৬,৫৮৩ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে। তার মধ্যে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৩২ জনের চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ২০৬ জন। মারা গেছেন ৭ হাজার ৭৪৫জন। যদিও ১১ই জুনের শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন এক লাফে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে যায় দেশে। বর্তমানে গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৫৫ জন।
এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ ?
মহামারী এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এপ্রিল মাস থেকেই দেশে সুস্পষ্ট ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণকে মাথাচাড়া দিতে দেখা গেছে। এদিকে সরকারি ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়টি স্বীকার না করায় চলমান মহামারীর মাঝেও একাধিক বিভ্রান্তি ছড়াতে দেখা গেছে। করোনা টেস্টও অনেকটাই সীমিত। কোয়রেন্টাইন ও আইসোলেশন ব্যবস্থাও ধুঁকছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন গোষ্ঠী সংক্রমণ একটি পর্যায় যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই সংক্রমণের মূল উৎস অজানা থেকে যায়।
কি বলছেন জাতীয় স্বাস্থ্য সিস্টেম রিসোর্স কেন্দ্রের প্রাক্তন অধিকর্তা ?
এই প্রসঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য সিস্টেম রিসোর্স কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক ডঃ টি সুন্দরারামান বলছেন, "গোষ্ঠী সংক্রমণ অস্বীকার করা কার্যত সরকারের একগুঁয়েমিকেই সামনে আনে। আপনার যদি কোনও অঞ্চলের সম্পূর্ণ সিলিংয়ের প্রয়োজন হয় তবে এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনি সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত নন,"। এর আগে দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে সীমান্ত সিল সহ এলাকাভিত্তিক সিলিং করতে দেখা গেছে প্রশাসনকে। বিশেষজ্ঞদের মতে গোষ্ঠী সংক্রমণ না হলে এই ধরণের পদক্ষেপের প্রয়োজন হয় না। তবে এই ক্ষেত্রে আরও উন্নত পরিকাঠামো তৈরির প্রয়োজন রয়েছে বলে মত তাদের।
করোনা চিকিৎসায় 'হজমের ওষুধ' কাজে আসতে পারে! চাঞ্চল্যকর দাবিতে নয়া গবেষণা কী জানাচ্ছে