করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে চলা উচিত কেন্দ্রের, মত বিশেষজ্ঞদের
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে চলা উচিত কেন্দ্রের, মত বিশেষজ্ঞদের
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গৃহ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে গঠিত বিশেষ দলে ১১টি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় লকডাউনের বিধি ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে গেলে, ক্ষমতার বন্টন সম্পর্কে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ নিয়ে বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হেনেছে।"
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত কি?
লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব সুভাষ কাশ্যপ জানিয়েছেন, "মহামারীর মত স্পর্শকাতর বিষয়ের ক্ষেত্রে রাজ্য ও কেন্দ্র নিজের মত আইন প্রণয়ন করতেই পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে সংঘাতের সৃষ্টি হলে সংবিধান অনুযায়ী আইন সংশোধনের কাজ চলে। যেখানে সংবিধান আছে, সেখানে রাজনীতি শেষ কথা বলতে পারে না।"
কী বলছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব
প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব জি কে পিল্লাইয়ের মতে, "আইনানুযায়ী এমএইচএ চাইলেই রাজ্যে বিশেষ দল পাঠাতে পারে। লকডাউন ঠিকঠাক পালন হলে এই দল নিয়ে রাজ্যের সমস্যাটা কোথায়?" পিল্লাই আরও জানিয়েছেন, "যদি লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে কোনো ফাঁক থাকে, তাহলে রাজ্যের তা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যদিও কেন্দ্রেরও উচিত এমন বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর পূর্বে রাজ্যকে সূচিত করা।"
করোনা আবহে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তর্জা তুঙ্গে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জয় বারু জানিয়েছেন, "বর্তমান অর্থবর্ষে রাজকোষে অর্থের ভাঁড়ারে টান পড়ার দরুণ রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। এরকম কঠিন সময়ে খুব সাবধানতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।" অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের কেন্দ্রের কাছ থেকে ২৫,০০০ কোটির আর্থিক প্যাকেজ চাওয়ার ঘটনা নিয়ে অসামঞ্জস্যের তীর কেন্দ্রের দিকে।
লকডাউনের ফল, ৩০ বছর পর কলকাতার বাবুঘাটে দেখা মিলল শুশুকের