মোদীর আর্থিক প্যাকেজে কতটা লাভবান হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
আত্মনির্ভর ভারত গড়তে ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেই আর্থিক প্যাকেজ সম্পর্কে দ্বিতীয় দফায় বিস্তারিত জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কতটা লাভবান হলেন দেশের কৃষক ও পরিযায়ী শ্রমিকরা? দেশের কৃষকদের ভাগ্যেই বা কী জুটল?
লকডাউনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চলছে লকডাউনে। তাতে থমকে গিয়েছে অর্থনীতির চাকা। এর জেরে সব থেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের। লকডাউনের এই সময়ে পরপর ঘোষণা হচ্ছে সাহায্য, আর্থিক প্যাকেজ। তবে তার কতটুকু পৌঁছাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে? এই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।
আর্থিক প্যাকেজ বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা আবহে পরিযায়ীদের কথা ভেবে এক দেশ, এক রেশন কার্ডের বিষয়টি বাস্তবায়িত করা ঘোষণাটি ভালো। তবে অর্থমন্ত্রীর বাকি কোনও ঘোষণারই প্রশংসা করতে পারলেন না তারা। তাদের বক্তব্য, কর্মসংস্থান গড় তুলতে রাজ্যের উপর দায়িত্ব না দিয়ে কেন্দ্রের উচিৎ ছিল ডিরেক্ট বেনিফিটের মাধ্যমে এই সব পরিযায়ীদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, অসংগঠিত সেক্টরকে কী করে নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার? আর তা না করতে পারলে এই সব ঘোষণা বাস্তবায়িত হবেই বা কী করে?
৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিককে বিনামূল্যে খাদ্য
বৃহস্পতিবার নির্মলা সীতারমন বলেন, 'দেশের এই পরিস্থিতিতে দু'মাসের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য়শস্য সরবরাহ করা হবে ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিককে। দেশের ৮ কোটি পরিযায়ীর জন্য ৩৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। প্রতি পরিবার পরিযায়ীদের ৫ কিলো চাল বা গম এবং এক কিলো ছোলা দেওয়া হবে। এই পুরো বিষয়টির দেখভাল করবে রাজ্য। অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্র।'
১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে
এছাড়া অর্থমন্ত্রী বলেন, 'শেলটার হোমে থাকা শ্রমিকদের জন্য দিনে তিনবার করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়ার জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। রাজ্যে ফেরার পর তাঁদের ১০০ দিনের কাজেও আরও বেশি করে সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া ১০০ দিনের কাজে মজুরি ১৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে।'
পরিযায়ীদের বাসস্থান দেওয়া হবে
পরিযায়ীদের বাসস্থান দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, 'পরিযায়ী শ্রমিক ও শহুরে দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ভাড়া বাড়ি বা আবাসন প্রকল্প আনবে কেন্দ্র। তা পিপিপি মডেলে করা হবে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অনেক আবাসনকেও এই প্রকল্পে আনা হচ্ছে। রাজ্যের শ্রমিকরাও সেখানে ভাড়া থাকতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এই ঘরগুলি তৈরি হবে।'
ফুটপাতের হকারদের ৫০০০ কোটি টাকা
এদিকে ফুটপাতের হকারদের ৫০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা। ৫০ লক্ষ ফুটপাতের হকার রয়েছেন ভারতে। লকডাউন পরবর্তী সময় ব্যবসা চালু করতে সাহায্য করতে এদের ঋণ সহযোগিতা দেওয়া হবে। ডিজিটাল পেমেন্ট করা ফুটপাতের হকারদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। এরা কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন। এক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হবে কেন্দ্রের তরফে।
করোনা আবহে বিমান যাত্রায় কতটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে উঠতে পারবেন? নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের