
ভারতেও এবার শনাক্ত অতি দ্রুত সংক্রমণ-গুণ সম্পন্ন ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7! সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
সপ্তাহখানের আগে চিনে ওমিক্রনের BF.7 ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এবার ভারতেও তার খোঁজ মিলল। গুজরাতের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে ভারতে BF.7-এর প্রথম কেস শনাক্ত করা হয়েছে। ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্ট এখনও পর্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং আরও বেশি সংক্রমণের গতি সম্পন্ন বলেই জানা গিয়েছে।

চিনের বর্তমান সমক্রমণ বৃদ্ধির পিছনেও BF.7
বর্তমানে চিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7 এবং BA.5.1.7। চিনের জিরো টলারেন্স নীতির কারণে সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে লকডাউন করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ওমিক্রনের ওই সাব ভ্যারিয়েন্টের ট্রান্সমিসিবিলিটি এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি।

ভারতে এখন সংক্রমণ ও মৃত্যু নিচের দিকে
ভারতে এখন দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু একেবারে নিচের দিকে। সেই কারণে সাধারণ মানুষের কাছে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা আবেদন জানিয়েছেন। গুজরাতের যে গবেষণাগারে BF.7 শনাক্ত করা হয়েছে, সেখানকার সিনিয়র বিজ্ঞানী ড. মাধব যোশী বলেছেন, সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে, জমায়েত এড়াতে এবং সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ভারতে ওমিক্রন বিপর্যয়ের কারণ হয়নি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমিক্রন ভারতে কোভিড বিপর্যয়ের কারণ হয়নি। সেই ওমিক্রনেরই সাবভ্যারিয়েন্ট BF.7। সেই কারণে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের অন্য ভ্যারিয়েন্টের থেকে বেশি সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ভারতে বহু সংখ্যক মানুষ টিকা নিয়েছেন। যার জেরে সেইসব মানুষদের মধ্যে অনাক্রম্যতা গড়ে উঠেছে।

ভারতে এখনও আতঙ্কের পরিস্থিতি নয়
গুজরাতের গবেষণাগারে BF.7 শনাক্ত হলেও অপর সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.5.1.7-এর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। যে কারণে দেশে এখনও আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির এক সিনিয়র বিজ্ঞানী।
ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩০০-র বেশি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে বিজ্ঞানীরা বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। তাঁরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যার দিকে নজর রাখার কথা তারা বলেছেন। তারা বলছেন, নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট আসতেই থাকবে। তবে এব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই। তবে মানুষকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। এব্যাপারে আগামী দু থেকে তিন সপ্তাহ যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।