ঋণের বোঝা ঠেকাতে কল ও ডেটা চার্জ বাড়াতে পারে টেলিকম সংস্থাগুলি, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
ঋণের বোঝা ঠেকাতে কল ও ডেটা চার্জ বাড়াতে পারে টেলিকম সংস্থাগুলি, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
ইতিমধ্যেই বেকায়া স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি (এজিআর) মেটানোর জন্য দেশের টেলিকম সংস্থা গুলিকে ১০ বছর অতিরিক্ত সময় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বিশেষজ্ঞদের মতে এতে টেলিকম সংস্থা গুলির সাময়িক স্বস্তি মিললেও মোবাইল ব্যবহারের ছরচ বাড়তে চলেছে সাধারণ গ্রাহকদের।
কি বলল সুপ্রিম কোর্ট ?
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি এস আবদুল নাজির ও বিচারপতি এম আর শাহকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এই খাতে তাদের নতুন রায় দেয়। তাতে বকেয়া প্রায় ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা মেটানোর জন্য ২০৩১ সালের ৩১ মার্চের সময় সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়।
কল ও ডেটা প্যাকের চার্জ বৃদ্ধির সম্ভাবনা
যদিও পাশাপাশি বকেয়ার অন্তত ১০ শতাংশ ২০২১ সালের ৩১শে মার্চের মধ্যে মিটিয়ে দিতে বলেছেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। সহজ হিসাবে দেখলে এই জন্য টেলিকম সংস্থাগুলির হাতে সময় আছে মাত্র ৭ মাসের। তার মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা শোধ করতে কল ও ডেটা প্যাকের চার্জ বৃদ্ধি ছাড়া তাদের আর কোনও উপায় থাকবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মোট বকেয়ার পরিমাণ কত ?
এদিকে, এখনও পর্যন্ত ভারতী এয়ারটেলের বকেয়ার পরিমাণ ছিল ৪৩,৯৮০ কোটি টাকা। কিছু চাকা পরিশোধ হলেও এখনও তাদের ২৫,৯৭৬ কোটি টাকা মেটাতে হবে বলে খবর। পাশাপাশি এজিআর বাবদ ভোডাফোন আইডিয়ার একটা সময় বকেয়া ছিল ৫৮,২৫৪ কোটি টাকার বেশি। সূত্রের খবর, তার মধ্যে তারা ৭,০০০ কোটি টাকার বেশি তারা মিটিয়ে দিয়েছে।
মার্চের মধ্যে কত শোধ করতে হবে ?
অন্যদিকে আদালতের নয়া রায় অনুসারে দেখতে গেলে দেখা যাবে এখনও পর্যন্ত আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই ভারতী এয়ারটেলকে প্রায় ২,৬০০ কোটি টাকা এবং ভোডাফোন আইডিয়া ৫,০০০ কোটি টাকা শোধ করতে হবে। যার ফলেই অবধারিত ভাবে ব্যবহারকারী প্রতি আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ঝুঁকবে প্রতিটা সংস্থা।
ব্যবহারকারী প্রতি আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ঝুঁকবে প্রতিটা সংস্থা
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এই এজিআর-র চাপের মুখে পড়েই আগামীতে ব্যবহারকারী প্রতি আয়(এপিআরইউ) ১০ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে টেলিকম সংস্থাগুলি। যার সরাসরি ছাপ পড়বে ডেটা প্যাক ও সাধারণ কলচার্জের উপর। এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে এয়ারটেলের এআরপিইউ ছিল ১৫৭ টাকা, সেখানে ভোডাফোন-আইডিয়ায় এপিআরইউ-র পরিমাণ ছিল ১১৪ টাকা।
দেশের মোট নতুন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৫৬ শতাংশ বহন করছে এই পাঁচ রাজ্য