কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : দূষণ রুখতে আরও অর্থ বরাদ্দ করা হোক, দাবি পরিবেশবিদদের
দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা, মুম্বই সহ দেশের সব বড় শহরই দূষণে জেরবার। দিল্লির দূষণ নিয়ে প্রায় সবাই অবগত। কিন্তু পরিস্থিতি খুবই শোচচনীয় চেন্নাইতেও। দক্ষিণ ভারতের পোঙ্গাল অনুষ্ঠান হওয়ার ১২ দিন পরও চেন্নাইয়ে বাতাসের মান এখনও 'খারাপ'। আর এই দূষণের মূল কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে বের হওয়া কালো ধোয়া।
দূষণের মূলে কী?
এই বিষয়ে তামিলনাড়ু দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, 'কেবল তামিলনাড়ুই নয়, ভারতের প্রায় সমস্ত কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অপারেটরগুলির ইউনিটগুলি ২০১৫ নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং সোডিয়াম অক্সাইড নির্গমনের সীমা অতিক্রম করেছে। এই ধোয়া নির্গমন মেনে চলার সীমাটি সব শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রক ২০২১ সালের শেষ নাগাদ মেনে চলার জন্য সময়সীমা আরও দু'বছরের বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা নিরন্তর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে নির্গমনের বিষয়টি মাথায় রেখে সেই খাতে বিনিয়োগের জন্য বলছি।'
১২.৫ শতাংশ ভারতীম মারা যাচ্ছেন দূষণের জেরে
আইফরেস্ট সংস্থার প্রধান চন্দ্র ভূষণও প্রায় একই সুরে বলেন, 'শুধু চেন্নাই নয়, আরও বেশ কয়েকটি শহর দূষণের মাত্রা বেড়েছে। মহানগরগুলিতে বাতাসের নিম্নমানের বিষয়ে শোনা এখন খুব সাধারণ একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ভারতে মোট মৃত্যুর প্রায় ১২.৫ শতাংশ বায়ু দূষণের কারণে হয়। এছাড়াও, এই মারাত্মক কারণে আমরা আমাদের জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ হারাচ্ছি।'
কোন পথে সমস্যা সমাধান?
এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার পথও বাতলে দেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমার পরামর্শ হল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে দূষণরোধের জন্যে সাহায্য করা হোক। কেন্দ্রগুলিতে দূষণ নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম বসানোর জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা বোক। এবং আগামী পাঁচ বছরে রান্নার জ্বালানির খরচ ৭৫ শতাংশ হ্রাস করার একটি পরিকল্পনাও আনা হোক।'
দূষণের জেরে অর্থনীতিতে প্রভাব
ক্লাইমেট ট্রেন্ড সংস্থার ডিরেক্টর, অরতী খোসলা বলেন, 'রাজস্থান, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে দেশের বিদ্যুত বিতরণ সংস্থাগুলির অনেক ঋণে ডুবে। দেশের সমস্ত বিদ্যুৎসংসস্থার সম্মিলিত ঋণের আর্ধের বেশি ঋণ এদের মাথআয়। মোট ৪৩,৫৬২ কোটি টাকার ঞণে ডুবে শুধু এই তিনটি রাজ্যের বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। এই অবস্থায় তাদের পক্ষে নির্গমনের জন্যে যন্ত্র বসানো সম্ভব নয়। কিন্তু এর জেরে বাজে প্রভআব পড়ছে আমাদের দেশের অর্থনীতির উপর। আমরা আমাদের অর্থনৈতির লক্ষ্য থেকে পথভ্রষ্ঠ হচ্ছি।'
'দূষণ রুখতে মডেলিং করা উচিত'
এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে আআইটি মাদ্রাসের প্রফেসর শিব নাগে ন্দ্র বলেন, 'প্রতিটি শহরের একটি নির্গমন প্রক্রিয়া থাকা উচিত এবং কার্যকর পদক্ষেপের জন্য দূষণের উৎসগুলি বোঝার জন্য দূষণের মডেলিং করা উচিত।'