করোনার আক্রান্ত বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ৪টি ওষুধ, দাবি বিশেষজ্ঞদের
করোনার আক্রান্ত বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ৪টি ওষুধ, দাবি বিশেষজ্ঞদের
করোনার আক্রমণে দিশেহারা গোটা বিশ্ব। প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় দেশগুলি ক্রমশ লকডাউনের রাস্তায় হাঁটছে। কোভিড-১৯-এর আক্রমণে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি, যেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৫৭জন। এখনও পর্যন্ত ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ৪৮২৫জনের। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩,০৭,৬২৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩,০৫০জনের।
প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে এফডিএ
দুশ্চিন্তার কথা এই যে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ) করোনার জন্যে কোনো প্রতিষেধক নির্মাণে এখনও পর্যন্ত সাফল্যলাভ করেনি। গোটা পৃথিবীর গবেষকরা এখন নোভেল করোনার ভাইরাসের উপর বিভিন্ন ড্রাগের প্রভাব নিয়ে লাগাতার গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখযোগ্য ড্রাগগুলি সম্বন্ধে কিছু তথ্য উল্লেখ করা হল।
রেমডেসিভির(অ্যান্টি-ইবোলা ড্রাগ)
২০০৯ সাল থেকে রেমডেসিভিরের উপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে 'গাইলিড' নামক একটি জৈব-রাসায়নিক সংস্থা। এটি আফ্রিকার মারণব্যাধি ইবোলাকে রুখতে ব্যবহার করা হয়েছিল। বর্তমানে মধ্য থেকে চরম অবস্থায় থাকা করোনা রোগীদের উপর এই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কালেটা(একটি এইচআইভি ড্রাগ)
'অ্যাবভি'
নামক
একটি
সংস্থা
প্রথম
'কালেটা'প্রস্তুত
করে।
এইচআইভি
রুখতে
প্রথম
এটি
ব্যবহৃত
হলেও
ফল
খুব
একটি
আশাপ্রদ
নয়।
চৈনিক
গবেষকদের
সমীক্ষা
অনুযায়ী,
কালেটা
করোনায়
মরণাপন্ন
রোগীদের
বাঁচাতে
কার্যকর
নয়।
যদিও
অস্ট্রেলিয়ার
গবেষক
দলের
মতে,
কালেটার
সাথে
ক্লোরোক্যুইনের
মিশ্রণ
কিছু
কোভিড-১৯
আক্রান্তের
প্রাণ
বাঁচাতে
সক্ষম
হয়েছে।
ক্লোরোক্যুইন(অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ড্রাগ)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এফডিএ ক্লোরোক্যুইনকে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে সিলমোহর দেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলাতেও এর নাম সম্প্রতি শোনা গেছে। ক্লোরোক্যুইন করোনা রুখতে সমর্থ হলে চিকিৎসা অনেকটাই সুলভ হবে। যদিও গবেষণা জারি রয়েছে এবং এই মুহূর্তেই ক্লোরোক্যুইনকে নিয়ে আশার কথা শোনাতে নারাজ গবেষকরা।
মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিস
মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিস একটি বিশেষ রকমের প্রোটিন যৌগ যেটি শরীরে অ্যান্টিবডির দক্ষতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। গত জানুয়ারিতে 'ভির টেকনোলজি' নামে একটি সংস্থা ঘোষণা করে যে তারা এ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।
যথাযথ প্রতিষেধক আবিষ্কারে লাগতে পারে আরও এক বছর
উক্ত ড্রাগগুলি করোনাকে স্বল্প সময়ের জন্যে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হলেও, প্রতিষেধক আবিষ্কারে লাগতে পারে বেশ কয়েকটি মাস। মার্কিন স্বাস্থ্যসচিবদের মতে, করোনার সঠিক প্রতিষেধক নির্ধারণে এখনও ১২ থেকে ১৮মাস লাগতে পারে। ফলতই দুশ্চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে বিশ্বের প্রত্যেক নাগরিকের কপালে।