কৃষি আইন নিয়ে বিতর্ক সমাধানে কমিটিকে ২ মাস সময় সুপ্রিম কোর্টের
কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র ও কৃষক সমাজের দ্বন্দ্ব সমাধানে মধ্যস্থতার রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্ক সমাধানে গড়ে দেওয়া চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সমাধানের রাস্তা বের করবে বলে মনে করে শীর্ষ আদালত। কোন পথে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব, তা ওই কমিটিকে প্রস্তাব আকারে শীর্ষ আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের গড়ে দেওয়া কমিটি
কেন্দ্র ও আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য কৃষি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। কমিটিতে থাকবেন কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটি, প্রমোদ জোশী, অনিল ঘানওয়াত ও ভূপিন্দর সিং মান তাবড় ব্যক্তিত্বরা।

কমিটিকে ২ মাস সময়
মধ্যস্থতার জন্য যে কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে, তারা পৃথকভাবে কৃষক ও সরকার পক্ষের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই আলোচনা থেকে উঠে আসা বক্তব্যের সারসংক্ষেপ রিপোর্ট আকারে তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা দুই মাসের মধ্যে প্রস্তাব আকারে তাদের এজলাসে পেশ করতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

কেন্দ্রের অভিযোগ
মামলার শুনানি চলার সময় কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানি জঙ্গি যোগের অভিযোগ আনেন কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল। তা প্রমাণ করতে কেন্দ্রকে একদিনের মধ্যে এফিডেভিট জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল আদালতে অভিযোগ করেন যে আন্দোলনরত কৃষকরা অন্য কোনও শক্তির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও শীর্ষ আদালতে তিনি জানান।

কী বলছেন কৃষকরা
আন্দোলনেরত সবকটি সংগঠনকে বেঁধে তৈরি করা সম্মিলিত ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল, কেন্দ্রের কৃষি বিল লাগু করার ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। তা বলে দুই পক্ষের মধ্যস্থতায় তৈরি করে দেওয়া নিরপেক্ষ কমিটির ওপর তাঁদের ভরসা নেই বলেও জানিয়েছেন ওই কৃষক নেতা।

মুকুল-শোভনরা কেন আজ বিজেপিতে! একুশের ভোটের আগে কারণ দর্শালেন কুণাল