লালকৃষ্ণ আদবানীর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা যশবন্ত সিং
লোকসভা নির্বাচনের আগে দল চায়নি দলের বরিষ্ঠ নেতা বারমের থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। কিন্তু যশবন্ত সিং একরোখা ছিলেন লড়লে বারমের থেকেই লড়বেন। বারমেরের টিকিট না দিলে নির্দল হিসাবেই দাঁড়াবেন। এই নিয়ে মন কষাকষিতে কর্ণেল সোনারাম চৌধুরিকে বারমের থেকে প্রার্থী করে বিজেপি। যশবন্তও নিজের জেদ বজায় রেখে বারমের থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান। কিন্তু গেরুয়া ঝড়ের মুখে পড়ে সোনারামের কাছে ৮৭,৪৬১ ভোটের মার্জিনে হেরে যান তিনি। এর পর এদিন ফের লালকৃষ্ণ আদবানীর সঙ্গে সিংয়ের সাক্ষাৎ অর্থবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজনৈতির মহলের একাংশের ধারণা ফের বিজেপিতেই ফিরতে চাইছেন যশবন্ত সিং। আর সেই কারণেই একান্তে বিজেপির শক্ত স্তম্ভ আদবানীকে হাত করতে চাইছেন। কিন্তু সেই সম্ভবনা কতদূর তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে। এদিকে এদিনের সাক্ষাৎ সম্পর্কে সেভাবে কিছু বলতে নারাজ খোদ যশবন্ত সিংও। ফলে আপাতত ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে আছেন সবাই।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাজনীতির ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, সে বিষয়ে ইতিমধ্যে ছেলে মানবেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলেছেন যশবন্ত। মানবেন্দ্র রাজস্থানের বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু তাণকেও দলের তরফে বহিস্কার করা হয়েছে। বারমেরে দলের প্রার্থী সোনারাম চৌধুরির বিরুদ্ধেই মানবেন্দ্র প্রচার চালিয়েছিল বলে দলের অভিযওগ ছিল। যদিও দলের এই সিদ্ধান্ত প্রতিহিংসা বলেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যশবন্ত সিং।
শুধু বারমেরেই নয়, গোটা দেশেই বিজেপির ফল আাকশছোঁয়া। এমন এক ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজেপির অংশ হতে না পেরে অনুতপ্ত যশবন্ত। কারণ নির্বাচনের আগেই যশবন্ত বলেছিলেন, এটাই তাঁর জীবনের শেষ লোকসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ঘণিষ্ঠ সূত্রের খবর সেই কারণেই নিজভূম থেকেই জীবনের শেষ লোকসভা নির্বাচন লড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই এমন লজ্জাজনক হারে অনেকটাই ভেঙে পডে়ছেন সিং।