কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : কী প্রত্যাশা রাখতে পারেন মোদী সরকার থেকে?
বাজেট পেশের আগে বর্তমান পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল ভারতীয় অর্থনীতিকে মন্দা থেকে উদ্ধার করা। পরিসংখ্যান মন্ত্রক পূর্বাভআস দিয়ে জানিয়েছে যে চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, যা ২০১২-১৩ সালের পর থেকে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে ধীর গতি। অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে আরও জটিল করে তুলেছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি। ডিসেম্বরে সাড়ে পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ৭.৩৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার।
চাহিদা সঞ্চার করতে হবে
মানুষের মধ্যে চাহিদা সঞ্চার না করতে পারায় মন্দা রয়েছে বাজারে। দেশের জিডিপি বাড়াতে কর্পোরেট কমানোর পথে আগেই হেঁটেছে সরকার। সেই পথ খুব একটা সাফল্য এনে না দিতে পারায় এবার হয়ত সাধারণ মানুষের হাতে কী করে বেশি টাকা থাকে তার দিকে নজর দেবে সরকার। চাহিদা বাড়াতে ও অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হয়ত আয়করের ক্ষেত্রে কিছুটা কাটছাঁট দেখা যেতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে মন্দা
দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা, বুনিয়াদি শিল্পে উৎপাদন সংকোচন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা সহ বিভিন্ন কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ নেমে আসতে পারে বলে এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে বলা হয়েছে। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে কৃষি ফলন নষ্ট ও খনন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এর আগে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ, রাষ্ট্রসংঘ সকলেই চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির অনুমান কমিয়ে ৫ শতাংশ বা তার আশেপাশে নামিয়ে এনেছে। কেন্দ্র নিজেও নিজেদের পূর্ভাভাসে জানিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে দেশের প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ শতাংশ।
কোন ক্ষেত্রে স্বস্তি পেতে পারেন?
সরকার দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের ক্ষেত্রেও করে স্বস্তি দিতে পারে বলে খবর রয়েছে। অবশ্য এরকম যে কোনও প্রক্রিয়া বা ব্যবস্থা আর্থিক সংকট দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকবে। এর আগে সেম্পটেম্বর মাসে কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্তের পর মনে করা হয়েছিল দেশে উৎপাদন বাড়বে। এর ফলে জিডিপিও উর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে সরকারের সেই পদক্ষেপের পরও আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল মুডিজ। তারা জানিয়েছিল এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারের আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়বে। তবে সেই সময় তারা বলেছিল, কর কমানোয় কর্পোরেট ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ে ব্যবসার অগ্রগতি হবে।
কৃষকদের জন্যে কী পরিকল্পনা?
এরই মাঝে প্রয়োজনীয় পণ্য আইনের অন্তর্গত দণ্ডিত বিধান বাতিল করার বিষয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা এই কারণেই ভাবা হচ্ছে যাতে ব্যবসায়ীরা চাষীদের থেকে সরাসরি যত খুশি তত পণ্য কিনতে পারেন। বর্তমানে এই আইনের জেরে চাষীদের থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে মাত্রা ধার্য করা রয়েছে। এই আইনের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার থেকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এই বারের বাজেটটি হবে কৃষিমুখী।