
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়বে জীবনযাপনের জটিলতা, বাড়াবে মৃত্যু, দাবি বিশেষজ্ঞদের
তীব্র তাপপ্রবাহে (heatwave) বাস্তুতন্ত্রের ওপরে প্রভাব ফেলবে। তা একদিকে যেমন ফসলের ক্ষতি করবে, অন্যদিকে উৎপাদনশীলতা এবং অর্থনৈতিক উপাদানের ক্ষতি করবে। জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তঃ সরকারি প্যানেল (আইপিসিসি)-র ওয়ার্কিং গ্রুপ টু-এর জয়বায়ু পরিবর্তন ২০২২-এর প্রভাব, অভিযোজন এবং দুর্বলতা শীর্ষক প্রতিবেদনে ইতিমধ্যেই এশিয়ার তাপপ্রবাহের কথা উল্লেখ করে, মানুষের মৃত্যুর (death) হার বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনে তাপপ্রবাহের পাশাপাশি বন্যা-খরা-রোগ বাড়বে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়ায় ভেক্টর-জনিত এবং জলবাগিত রোগ, অপুষ্টি, মানসিক ব্যাধি, অ্যালার্জিজনিত রোগগুলিকে আরও বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও জলবায়ুর পরিবর্তন তাপপ্রবাহের পাশাপাশি বন্যা, খরা এবং বায়ু দূষণের মতো বিপদ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার জেরে বাড়ছে সর্বজনীন মৃত্যুর হার। তা ছাড়াও রক্ত চলাচল, শ্বাসযন্ত্র, ডায়াবেটিক এবং সংক্রমক রোগ সম্পর্কিত মৃত্যু এবং বেশি তাপমাত্রায় শিশুমৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। ভারী বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় এশিয়ায় ডায়ারিয়াজনিত রোগ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিও বাড়াবে। ঘনঘন তাপপ্রবাহ এশিয়ায় তাপ-সম্পর্তিক মৃত্যুকে বাড়িয়ে তুলবে বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

নীতি নির্ধারকদের জন্য
ওই প্রতিবেদনে নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, জলবায়ু ও আবহাওয়া চরম মাত্রা পৌঁছে যাওয়ায় বাস্তুতন্ত্র, মানুষ, জনবসতি, পরিকাঠামোর ওপরে ব্যাপক ও বিস্তৃত প্রভাব দেখা গিয়েছে। যেমন বৃষ্টিপাতের ঘটনা বাড়ছে, ঠিক তেমনই খরা, তীব্র তাপপ্রবাহের আবহাওয়া দেখা দিচ্ছে।

প্রভাব অর্থনীতি এবং উৎপাদনশীলতার ওপরে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের স্পেলগুলি নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর হার বাড়াবে এবং অসুস্থতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি তা বাস্তুতন্ত্রের অবনতি ঘটাবে। ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাবে। যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতির ওপরে।
অর্থনীতি এবং উৎপাদনশীলতার উপর প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ভারত ইতিমধ্যেই তাপের কারণে বছরে প্রায় ১০১ বিলিয়ন ঘন্টা হারাচ্ছে। যা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি। যা বেড়ে বছরে ২৩০ বিলিয়ন ঘন্টা হয়ে যেতে পারে।
বেশি আর্দ্রতার সঙ্গে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে এবং কম আর্দ্রতার সঙ্গে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

নেওয়া যেতে পারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
তাপপ্রবাহ যে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরে প্রভাব ফেলছে, তা মৃত্যুরহার বিশ্লেষেণ করে দেখিয়েছেন গান্ধীনগরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথের প্রধান দিলীপ মাভলঙ্কর। একটি সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরির কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে দুপুর থেকে বিকেলের দিকে পিক সময়ে বাইরে কাজ করতে পারবেন না। এছাড়াো হাল্কা রঘের পোশাক পরতে হবে, ভিডে কাপড় দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ মুথচে হবে এবং বাইরে কাজ করার সময় প্রতি ৩০-৬০ মিনিটে বিশ্রাম নিতে হবে।
Weather update: সকাল থেকে মেঘলা আকাশ, আজও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়