গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার কেন্দ্রের, আইসিএমআর-র সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ বিশেষজ্ঞদের
গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার কেন্দ্রের, আইসিএমআর-র সমীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ বিশেষজ্ঞদের
ভারতে করোনার গোষ্ঠী সমক্রমণ শুরু হয়েছে জোর তরজা। সরকার সংক্রমণের কথা স্বীকার না করলেও বিশেষজ্ঞদের মত উল্টোই। এদিকে আইসিএমআর-ও জানাচ্ছে সংক্রমণ বাড়লেও তা কিছু এলাকা ভিত্তিক। এখনও কোনোরকম গোষ্ঠী সংক্রমণ ভারতে শুরু হয়নি।
ভারতে করোনা প্রভাব ১ শতাংশেরও কম, মত আইসিএমআর-র
আর এখানেই বাড়ছে বিভ্রান্তি।এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর বক্তব্য, দেশের ৮৩টি জেলার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ মানুষের উপর কোভিড-১৯ থাবা বসাতে পেরেছে। তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে এটা বলার এখনও সময় আসেনি। আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গভের কথায়, "আমাদের দেশে করোনার প্রভাব খুবই সীমাবদ্ধ। ১ শতাংশেরও কম।"
বারংবার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করছে আইসিএমআর
এদিকে ইতিমধ্যেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১০ হাজারে পৌঁছে গেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে এই মুহূর্তে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার না করা কার্যত বালখিল্যতার সমান। যদিও বিশেষজ্ঞরা এই ক্ষেত্রে আইসিএমআর-র সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
আইসিএমআর-র সমীক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
তাদের মতে এই ভারতে সংক্রমণের হার জানতে গিয়ে আইসিএমআর মূলত দেশের প্রায় ৬৫টি জেলার ২৬,৪০০ মানুষের উপর সমীক্ষা চালায়। যেখানে দেখা যায় এখনও পর্যন্ত সংক্রামিত হয়েছেন ০.৭৩ শতাংশ মানুষের। কিন্তু এটাই দেশের সামগ্রিক চিত্র নয় বলেই তাদের দাবি। এইমসের প্রাক্তন ডাইরেক্টর ডাঃ এম সি মিশ্র বলেছেন, এখনই দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না।
এপ্রিল থেকেই ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ
তার সত্ত্বেও গত কয়েক সপ্তাহে থেকেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বারংবার দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা অস্বীকার করে গেছে। মহামারি বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই অপব্যাখা ও ভ্রান্ত ধারণার জেরেই দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ আরও কঠিন হয়ে উঠবে। যার জেরে করোনা টেস্টও অনেকটাই সীমিত। কোয়রেন্টাইন ও আইসোলেশন ব্যবস্থাও ধুঁকছে। গোষ্ঠী সংক্রমণ একটি পর্যায় যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই সংক্রমণের মূল উৎস অজানা থেকে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এপ্রিল মাস থেকেই দেশে সুস্পষ্ট ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণকে মাথাচাড়া দিতে দেখা গেছে।
পাঁচ রাজ্যই করোনায় মাত করেছে দেশকে, পর্যালোচনা বৈঠকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী মোদীর