আবহাওয়ার ভেলকি! কেরলে বন্যা অথচ দক্ষিণ ভারতের বহু জেলায় দেখা দিয়েছে খরার আশঙ্কা
এই বছর কেরলে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে বহু দক্ষিণ ভারতীয় জেলায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় খরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কেরল ভেসে গিয়েছে অতি বৃষ্টিতে। স্বাভাবিকের থেকে ১১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি পেয়েছে কেরল। কিন্তু অবিশ্বাস্য তথ্য হল কেরলের এবং অন্ধ্র উপকূলের বাইরে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রের রায়ালসিমা এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই এলাকাগুলিতে খরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রের রায়ালসিমা এলাকার ৯৫টি জেলার মধ্যে ৪৭টি জেলাতেই বৃষ্টির ঘাটতি স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ শতাংশ বা তার বেশি। ৫ টি জেলায় তো এই ঘাটতি ৬০ শতাংশের বেশি।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রায়ালসিমা সাবডিভিশনের। অন্ধ্রের এই অংশে বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৪২ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, এমনকী রাজস্থানের পশ্চিমাংশের মতো শুখা এলাকার থেকেও বেশি। নর্থ ইন্টেরিয়র কর্ণাটকের অবস্থাও তথৈবচ। এই এলাকায় ২১ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বৃষ্টিতে। তামিলনাড়িতেও ৩২টি জেলার মধ্যে ২২টি জেলাতেই বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। কেরালার সীমান্তে থাকা জেলাগুলিতে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। কর্ণাটকেও সব মিলিয়ে ৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হলেও ৩০টি জেলার ১৫টিতে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন বৃষ্টিপাতের এই রকম অসম বন্টনের প্রধান কারণ এই বছরের বর্ষার উদ্ভট আচরণ। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক ডি শিবানন্দ পাই জানান, 'সাধারণত বর্ষাকালে ইস্টারলি সিস্টেম দক্ষিণে সক্রিয় হলে রায়ালসিমা ও তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হয়। যা এই বছর হয়নি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপগুলিও মধ্য ও উত্তর ভারতেই গিয়েছে, এখনও দক্ষিণে তেলেঙ্গানা বাদে কোনও বড় প্রভাব ফেলেনি।'