ট্যাঙ্কের উপর উঠে পুলিশের সামনেই আত্মঘাতী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী! কারণ চমকে দেওয়ার মতো
আত্মহত্যা করলেন উত্তরাখন্ড রোডওয়েজ ইউনিয়ন নেতা এবং রাজ্য সরকারের প্রাক্তনমন্ত্রী। মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন রাজেন্দ্র বাহুগুনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে
আত্মহত্যা করলেন উত্তরাখন্ড রোডওয়েজ ইউনিয়ন নেতা এবং রাজ্য সরকারের প্রাক্তনমন্ত্রী। মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন রাজেন্দ্র বাহুগুনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে পুরো ঘটনাই পারিবারিক বলে দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি বউ মা রাজেন্দ্র বাহুগুনা'র বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনেন। আর এরপর থেকেই নানা ভাবে মানসিক চাপ তৈরি হয়। আর সেই চাপ থেকেই রাজেন্দ্র ঘরের পাসেই তৈরি ট্যাঙ্কের উপর উঠে পড়ে। কিন্তু পুলিশ এবং আশেপাশের লোকজন তাঁকে অনেকবার বীঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কারোর কথাই কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। আর এরপরেই নিজেকে গুলি করে রাজেন্দ্র বাহুগুনা আত্মঘাতী হন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনেন তাঁর পুত্রবধু। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলাও হয়। আর এরপর থেকেই মানসিক চাপ ছিল বলেই দাবি পরিবারের। তবে আত্মঘাতী হওয়ার আগে পুলিশের জরুরি নম্বরে ফোন করেন রাজেন্দ্র বহুগুনা। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশের বিশাল একটা দল। এমনকি যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বিভিন্ন ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর আগেই বন্দুক দিয়ে নিজেকে গুলি করেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
আর এই ঘটনার পরেই দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পুত্রবধূ তাঁর বিরুদ্ধে নাতনির সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন, যার কারণে বহুগুনা রীতিমত দুঃখিত ছিলেন বলে দাবি। আর এই ঘটনা নিয়েই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল বলে দাবি পুলিশের। এমনকি তাঁর ছেলের সঙ্গে বউমার এই ঘটনা নিয়ে অশান্তি চলছিল বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
তবে এই ঘটনার পরেই প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলে তাঁর বউয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আত্মহত্যায় উৎসাহ দেওয়া সহ একাধিক বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই ঘটনার পরেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে পুলিশে।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন পরেই উত্তরাখন্ড রোডওয়েজ সহ বিভিন্ন বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা নেওয়ার কথা ছিল। আর এর মধ্যেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রীর অনুগামীদের মধ্যেও শোকের ছায়া। ঘটনায় দলের মধ্যেও একটয়া অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।