কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ! বিজেপিতে যোগদান প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতির
কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ! বিজেপিতে যোগদান প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতির
সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসের চিহ্ন সরিয়ে দেওয়ার পরে কংগ্রেস (congress) ত্যাগের কথা জানিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। এবার দিল্লিতে বিজেপির (bjp) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (jp nadda) উপস্থিতিতে এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন পঞ্জাব (Punjab) বিশিষ্ট নেতা তথা প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি সুনীল ঝাখর (sunil jakhar)। এদিন তিনি বিজেপির সদস্যপদও গ্রহণ করেন।
৫০ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ
এদিন সুনীল ঝাখর বলেছেন, তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মোটেও সহজ ছিল না। কেননা কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর ৫০ বছরের সম্পর্ক। তিন প্রজন্ম কংগ্রেসে। তারপরেও তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন। এদিন তিনি বলেছেন, সুনীল ঝাখর ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করেননি। ব্যক্তিগত কোনও ঝদড়া না থাকলেও কিছু সমস্যা ছিল।
১৪ মে কংগ্রেস ত্যাগ
১৪ মে সুনীল ঝাখর কংগ্রেস ত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। সেই সময় তিনি দায়ী করেছিলেন অম্বিকা সোনির মতো নেতানেত্রীদের। পঞ্জাবের গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৎকালীন দল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর বিরোধের কথা সকলেরই জানা। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর পদত্যাগের পর দল যখন চরণজিৎ সিং চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করে তখন সুনীল ঝাখর বিবৃতি দিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাহুল গান্ধী সুনীল ঝাখরের মান ভাধানোর চেষ্টা করেও পারেননি।
২ বছরের জন্য সব পদ থেকে সরায় কংগ্রেস
২৬ এপ্রিল এআইসিসির শৃঙ্খলারক্ষার প্যানেল সুনীল ঝাখরকে দুই বছরের জন্য দলের সব পদ থেকে অপসারণের কথা জানায়। কেননা পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির সমালোচনা করার পাশাপাশি আম-আদমি পার্টির কাছে কংগ্রেসের পরাজয়ের জন্য তাঁকে দায়ী করেছিলেন। তিনি কংগ্রেস সাংসদও ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ জমা পড়েছিল দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে।
চিন্তন শিবিরে লাভ নেই, বলেছিলেন ঝাখর
সুনীল ঝাখর দিন কয়েক আগে রাজস্থানে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, চিন্তন শিবির বসিয়ে কোনও কাজ হবে না। তিনি বলেছিলেন বিষয়টি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তিনি বলেছিলেন, উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে কংগ্রেস ৩৯০ টি আসনে কয়েক হাজার ভোট পেয়েছিল। এছাড়াও গোয়া-উত্তরাখণ্ডে বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তারা জিততে পারেনি। কংগ্রেসকে এব্যাপারে ভাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
পাশে পেয়েছিলেন সিধুকে
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পাশে সেরকম কাউকে না পেলেও, পেয়েছিলেন তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিধুকে। সুনীল ঝাখরকে তিনি সম্পদ বলে বর্ণনা করেছিলেন। বলেছিলেন কোনও পার্থক্য থাকলে তা আলোচনার টেবিলে সমাধান করা যেতে পারে।
পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের CBI-র, বাগডোগরা থেকে আসছেন মন্ত্রী