লাদাখ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের! বিরোধী দলগুলিকে দিলেন কোন পরামর্শ?
সোমবার রাতে লাদাখে চিনা সেনার সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। ঘটনাটি সামনে আসতেই এই বিষয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। কেন্দ্রের কাছে জবাবদিহি সহ বদলার দাবি তুলতে থাকে বিভিন্ন দল। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষ
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের রাস্তা তৈরি নিয়ে মে মাসের শুরু থেকেই মুখোমুখি হয় দুই দেশের সেনা। নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক বৈঠক করেন দু'দেশের কমান্ডাররা। কিন্তু সোমবার রাতে হঠাৎই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। দু'পক্ষের সংঘর্ষকে ঘিরে শহিদ হন তিন ভারতীয় সেনাকর্মী৷ গুরুতর জখম হন ১৭ জন৷ পরে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ওই জখম ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
গালওয়ানের এই ঘটনা জাতীয় ভাবাবেগে বড়সড় ধাক্কা
ভারত-চিন সংঘর্ষ প্রসঙ্গে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'গালওয়ানের এই ঘটনা জাতীয় ভাবাবেগে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে।' এই বিষয়টি নিয়ে কার্যত সতর্ক করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। বলেন, 'লাদাখে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা আমাদের জাতীয় কৌশলগত স্বার্থের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপরও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।'
ভারতীয় সেনার বিরাট আত্মত্যাগ
ইউপিএ সরকারের আমলে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এটা ভারতীয় সেনার বিরাট আত্মত্যাগ। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি একসময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলাম। আমার মতে দেশের ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষার্থে নিজেদের জীবন দেওয়ার চেয়ে বড় কাজ আর কিছু হতে পারে না।'
বর্তমান পরিস্থিতি সুকৌশলে স্বাভাবিক করতে হবে
চিনের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতি সুকৌশলে স্বাভাবিক করতে হবে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে সবরকম উপায় খোঁজ করে দেখতে হবে।'
সব রাজনৈতিক শিবিরকে এগিয়ে আসতে হবে
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, জাতীয় ভাবাবেগে যে ধাক্কা লেগেছে তা ঠিক করতে রাজনৈতিক শিবিরকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব কম নয়। মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে সরকারকে। সার্বিক আলোচনায় দেশের সেনাবাহিনীকেও রাখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ যে সর্বোচ্চ তা সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই।
অনুপ্রবেশ চিনের পুরনো অভ্যাস! ভারতীয় ভূখণ্ডে কতবার ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে পিএলএ? কী বলছে ইতিহাস