বিজেপিতে যোগ নিগৃহীত প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের, মুম্বইতে গুন্ডাগিরি বন্ধের ডাক
উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে তৈরি কার্টুন শেয়ার করায় প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিককে তাঁরই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে, মারধর করেছিল শিবসেনা কর্মীরা। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বয়ং। বলেছিলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়। এর দুই দিন পরেই এবার বিজেপিতে এবং আরএসএস-এ যোগ দিলেন সেই প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথের সঙ্গে কথা বলেন নৌসেনা আধিকারিক
এর আগে একটি টুইট বার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, 'নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার শ্রী মদন শর্মার সঙ্গে কথা বলেছি। মুম্বইয়ে তিনি গুন্ডাদের হামলার শিকার হয়েছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিকের উপর এরকম আক্রমণের ঘটনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং লজ্জাজনক। মদনজির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছি আমি।' এই টুইটের পরই বিজেপির তরফে সেই আধিকারিককে সাহায্যের আস্বাস দেওয়া হয়েছিল।

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মনোজ শর্মা
সোমবার মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মনোজ শর্মা। এর আগে গত সপ্তাহের শুক্রবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে একটি কার্টুন ফরওয়ার্ড করেছিলেন মনোজ শর্মা। তারপর বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ লোখন্ডওয়ালা কম্পলেক্সে তাঁর বাড়ি এসে শিবসেনা কর্মীরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হন প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক।

অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও তারা জামিন পায়
চাপের মুখে পড়ে ছ'জনকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতেই না কাটতেই দিব্যি জামিন পেয়ে যায় শিবসেনা নেতা-সহ সব ধৃতেরা। ঘটনায় প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক মনোজ শর্মার চোখে আঘাত লাগে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হয়।

সেনার বিরুদ্ধে মনোজ শর্মার অভিযোগ
এদিকে মনোজ শর্মার দাবি, উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে কার্টুন শেয়ার করার কারণে তাঁর উপরে এই হামলা। এদিন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন যে গুণ্ডারাজ তিনি বন্ধ করতে চান। তিনি অভিযোগ করেন, 'আট থেকে দশ জন আমার বাড়ি আসে। আমায় মারধর করে। ওই কার্টুন শেয়ার করার পর থেকেই আমার কাছে হুমকির ফোন এবং মেসেজ আসা শুরু হয়। এইরকম সরকার থাকাই উচিত না।'

বিধানসভার তলবে এল না, দিল্লি হিংসা ছড়ানোর জন্য কি কোনওভাবে দায়ী ফেসবুকই?