'পোল ফিক্সিং'-এ অভিযুক্ত ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী! দাবি প্রাক্তন বিধায়কের
২০১৪ সালের ছত্তিশগড়ের অন্তগড় বিধানসভার উপনির্বাচনে কলঙ্গে নয়া মোড়। প্রাক্তন বিধায়ক মন্থুরাম পাওয়ার বিচারকের সামনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করিয়েছন।
২০১৪ সালের ছত্তিশগড়ের অন্তগড় বিধানসভার উপনির্বাচনে কলঙ্গে নয়া মোড়। প্রাক্তন বিধায়ক মন্থুরাম পাওয়ার বিচারকের সামনে তাঁর বয়ান রেকর্ড করিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই বয়ানে তিনি প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং এবং অজিত যোগীকে অভিযুক্ত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সাতকোটির চুক্তি হয়েছিল। যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেষ মুহুর্তে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মন্থুরাম পাওয়ার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
অভিযুক্তের পাল্টা অভিযোগ
প্রাক্তন
বিধায়ক
মন্থুরাম
পাওয়ার
অভিযোগ
করেছেন,
এই
চুক্তি
সম্পন্ন
হয়েছিল
তৎকালীন
পিডব্লুডি
মন্ত্রী
রাজেশ
মুনাতের
বাংলোয়।
তিনি
বলেছেন,
তাঁর
সামনেই
মুনাত
আমীন
মেনন
এবং
ফিরোজ
সিদ্দিকিকে
সাত
কোটি
টাকা
দিয়েছিলেন।
কিন্তু
সেই
টাকা
থেকে
তিনি
কোনও
টাকা
নেননি,
দাবি
করেছেন
মন্থুরাম
পাওয়ার।
তিনি
আরও
বলেছেন,
সেই
চুক্তির
পর
থেকে
তিনি
নিজেকেই
দোষী
মনে
করছেন।
তাঁর
আরও
অভিযোগ
তৎকালীন
কংগ্রেস
বিধায়ক
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী
ছেলে
অমিত
যোগীও
ওই
চুক্তিতে
জড়িত
ছিলেন।
অভিযোগ অস্বীকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, চাপে পড়েই মন্থুরাম পাওয়ার বয়ান দিচ্ছেন। যড়যন্ত্র করেই দান্তেওয়াড়া কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে এইসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে। মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভোটের ইতিহাস
২০১৪ সালে অন্তগড় উপনির্বাচনে কংগ্রেস মন্থুরাম পাওয়ারকে মনোনীত করেছিল। আসনটি ছিল তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। শেষ মুহুর্তে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। কংগ্রেসও বিপাকে পড়ে যায়। কোনও বিরোধী প্রার্থী ছাড়াই কার্যত ওয়াকওভার পেয়ে যান বিজেপির ভোজরাজ নাগ। এরপরেই কংগ্রেস মন্থুরাম পাওয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করে।
প্রায় একবছর পরে একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানেই দাবি করা হয়, উপনির্বাচন 'ফিক্সিং' হয়েছিল। টেপে শোনা গিয়েছিলেন ফোনের কথোপকথন যোগীদের সঙ্গে রমন সিং-এর জামাই পুনিত গুপ্তার মধ্যে। এছাড়াও সেই কথোপকথনে ছিলেন মন্থুরাম পাওয়ার, মুনাত আমীন মেনন এবং ফিরোজ সিদ্দিকি। এর জেরে ২০১৬ সালে কংগ্রেস থেকে অমিত যোগীকে বহিষ্কার করা হয়। ছয় মাস পরে তাঁর বাবা অজিত যোগী কংগ্রেস ছেড়ে জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড় গঠন করেন।
২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের জয়ের পর ছত্তিশগড় পুলিশ এফআইআর দায়ের করে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।