৩১ অক্টোবর থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে লাদাখ! নিয়োগ নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর
নতুন গঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন প্রাক্তন আইএএস রাধা কৃষ্ণ মাথুর।
নতুন গঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন প্রাক্তন আইএএস রাধা কৃষ্ণ মাথুর। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখ মর্যাদা পাচ্ছে ৩১ অক্টোবর থেকে। এ আগে রাধাকৃষ্ণ মাথুর ছিলেন ত্রিপুরা ক্যাডারের আইএএস। ভারতের চিফ ইনফর্মেশন কমিশনার হিসেবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২০১৮-র নভেম্বর পর্যন্ত।
অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাদানকারী ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটায় মোদী সরকার। এরপর জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করা হয়। দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় দেশ পায় একমাত্র বৌদ্ধধর্ম প্রধান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ। ২০১১-এর জনগণনা অনুযায়ী সেখানকার জনসংখ্যা ২.৭৪ লক্ষ। যার মধ্যে ৭০ শতাংশই বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। তবে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী থাকেন মহারাষ্ট্রে। জনগণনা অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর সংখ্যা প্রায় ৫৮.৩%।
অগাস্টে কেন্দ্রের তরফে ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং জম্মু ও কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত করার বিল পাশ হওয়ার পরেই উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রধান লাদাখে। তাদের অনেক দিনের দাবি পূরণ হল। হিন্দুপ্রধান জম্মুর সঙ্গে ছিল মুসলিম প্রধান কাশ্মীর। সঙ্গে জুড়ে ছিল বৌদ্ধধর্মপ্রধান লাদাখ। ৩১ অক্টোবর থেকে সরকারিভাবে যা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পাবে।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে দেশের একমাত্র কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে লাদাখ, সেখানে বৌদ্ধরা সংখ্যাগুরু। জনগণনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের সব থেকে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী থাকেন মহারাষ্ট্রে( ৫৮.৩%)। যা পুরো দেশের ৭৩.৪%। এরপরেই স্থান কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের। এছাড়াও সিকিম, অরুণাচল এবং মিজোরামে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা যথাক্রমে ২৮.১%, ১৩% এবং ৭.৯%।