মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধবের অপসারণের পিছনে কে! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
মহারাষ্ট্রের মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হতে হয়েছে উদ্ধব ঠাকরেকে। নিদের দলেরই বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের কাছে খোয়াতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি।
মহারাষ্ট্রের মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হতে হয়েছে উদ্ধব ঠাকরেকে। নিদের দলেরই বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের কাছে খোয়াতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাঁর এই লড়াইয়ে বরাবরই পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, উদ্ধবের অপসারণের পিছনে আসল লোক সঞ্জয় রাউত।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ তিনি হেনেছেন শিবসেনার বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে যড়যন্ত্র করে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বাধ্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে দিতে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে সঞ্জয় রাউতের কড়া সমালোচনা করেন নারায়ণ রানে।
তাঁর কথায়, উদ্ধব ঠাকরের অপসারণে খুশি হয়েছে সঞ্জয় রাউত। কারণ সঞ্জয় রাউত তাঁর পরামর্শদাতা শারদ পাওয়ারের দেওয়া কাজটি সম্পূর্ণ করেছেন। সঞ্জয় রাউত তাঁর দলের সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরেকে নাচাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁকে নিশানায় নারায়ণ রানে বলে, আর ফাঁসাবেন না উদ্ধব ঠাকরেকে, এবার নিজের ঘরে সুখে থাকুন।
নারায়ণ রানে আগে শিবসেনাতে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিজেপিতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। তিনি শিবসেনার এই কোন্দলকে আরও বাড়িয়ে দিলেন উদ্ধব ঠাকরেকে সরানোর পিছনে সঞ্জয় রাউতের হাত রয়েছে বলে। উদ্ধব ঠাকরের পাশ থেকে সরে গিয়েছেন শিবসেনার প্রায় সমস্ত বিধায়করা। অনেক সাংসদও বেঁকে বসে আছেন। তাঁদের চাপেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিবসেনাকে বিজেপির প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিতে হয়েছে। আবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও একই অবস্থান নিতে হবে।
এখন নারায়ণ রানের অভিযোগে আরও একবার প্রশ্ন উঠে পড়ল শিবসেনার ভবিষ্যৎ নিয়ে। উদ্ধব ঠাকরে যে দলের স্বস্তিতে নেই, তাঁর পাশ থেকে যে সমর্থন সরে যাচ্ছে, যাঁদের নিয়ে তিনি চলছেন, তাঁরাই যে তাঁর পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন, তা একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন নারায়ণ রানে। উল্লেখ্য, বর্তমানে মহারাষ্ট্রে বিজেপির সমর্থনে শিবসেনার বিদ্রোহীদের সরকার চলছে। বিদ্রোহীদের নেতা একনাথ শিন্ডে হয়েছেন মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন একনাথ শিন্ডেকে হত্যা করতে সুপারি দেওয়া নিয়েও মুখ খোলেন কেন্দ্রীয়মন্ক্রী নারায়ণ রানে। তাঁকে হত্যা করতে নকশালদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন রমেশ মোরেকে কে মেরেছে, কে মেরেছে জয়েন্দ্র যাদবকে। থানের কর্পোরেট কর্তাকে কে মেরেছ? এমনকী তিনি বলেন, এই নারায়ণ রানে যখন শিবসেনা ছেড়েছিল, তখনও তাকে মারতে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তখন আমি কিছু বলিনি, এখন বলছি। আমা আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদে রক্ষা পেয়েছিলাম।