বড় ভাঙন কংগ্রেসে, ২০১৯ লোকসভার আগে রাহুলকে জোর ধাক্কা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি শিবিরকে যখন ধাক্কা দেওয়ার জন্য সন্তর্পণে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তখন ঘরেই জোর ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস সভাপতি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি শিবিরকে যখন ধাক্কা দেওয়ার জন্য সন্তর্পণে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন রাহুল গান্ধী, তখন ঘরেই জোর ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস সভাপতি। তেলেঙ্গানার পর এবার মেঘালয়ের ধাক্কাও বেশ জোরেই লেগেছে। কারণ, এবার যিনি দল ছাড়লেন, তিনি ছিলেন চারবারের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী। মেঘালয়ের হেভিওয়েট নেতা।
এমনিতেই বিজেপি এবার টার্গেট করেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিকে। এবারই মেঘালয়ে পতন ঘটেছে কংগ্রেস সরকারের। তারপর নতুন করে কংগ্রেসকে ধাক্কা দিলেন মেধালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বর্ষীয়ান নেতা ডিডি লাপাং। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। তবে সেই পদত্যাগপত্র রাহুল গান্ধী গৃহীত করেন কি না, তা-ই দেখার।
পদত্যাগ পত্রে লাপাং লিখেছেন, বর্তমানে দলের নীতিতে বদল ঘটেছে। এখন আর দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের সামনের সারিতে রাখা হচ্ছে না। বর্ষীয়ান নেতাদের স্থান নেই। তাই আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি হল- দলের প্রতি প্রবীণ নেতাদের অবদান আর গুরুত্বপূর্ণ নয় দলের কাছে। এই ধারণা থেকেই নিজেকে অপমানিত মনে করছি। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
[আরও পড়ুন: আরএসএস ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন! 'গুগলি' পর 'বাউন্সার' ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
তিনি আরও লেখেন, এখনও আমার কর্মস্পৃহা রয়েছে যথেষ্ট। তবে দলের এই নীতিতে আমি চূড়ান্ত হতাশ। সেই হতাশা থেকেই আমার পদত্যাগ। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি দল ছাড়ছি। এমন কথাও তিনি লেখেন। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সাল থেকে মোট চারবার তিনি মোঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন:২০১৯-এও ২০১৪-র পুনরাবৃত্তি! কোন অঙ্কে মমতা বাতলে দিলেন মোদীর ভবিষ্যৎ]
কয়েকদিন আগে তেলেঙ্গানায় এক কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়েন। তিনি নাম লেখান তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিতে। তারপরই আবার তেলেঙ্গানায় বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। সবথেকে বড় কথা, এখন থেকেই লোকসভার মহাযুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। সেই অবস্থায় এই দলবদলগুলোও ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।