Uttarakhand poll 2022: চাপে বিজেপি, হরক সিং রাওয়াত ফিরছেন কংগ্রেসে
Uttarakhand poll 2022: চাপে বিজেপি, হরক সিং রাওয়াত ফিরছেন কংগ্রেসে
ভোট যত এগিয়ে আসছে উত্তরাখণ্ডে তত চাপ বাড়ছে বিজেপির। সূত্রের খবর বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা হরকা সিং রাওয়াত যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পুষ্কর সিং ধামি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। পরে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। তিনি এবার নাকি যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে কংগ্রেস। হরকা সিং রাওয়াতের এই যোগদানে কংগ্রেসের হাত আরও শক্ত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেসে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা
কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা হরকা সিং রাওয়াত। কোটদ্বারের বিধায়ক হরকা সিংকে ৬ বছরের জন্য বিজেপি বহিষ্কার করেছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন্ত্রিসভা থেকেও তাঁকে বহিষ্কার করেন। উত্তরাখণ্ডের বনমন্ত্রী ছিলেন হরকা সিং রাওয়াত। জানা গিয়েছে হরিশ রাওয়াত এবং কংগ্রেসের একাধিক প্রথম সারির নেতার উপস্থিতিতে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেবেন। হরকা সিং রাওয়াতের কংগ্রেসে যোগদানে ভোট ব্যাঙ্ক শক্তিশালী হবে কংগ্রেসের এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও যোগদান কংগ্রেসে
সূত্রর খবর শুধু হরক সিং একা নন। তাঁর সঙ্গে আরও দুই বিজেপি বিধায়কও যোগ দেবেন কংগ্রেসে। দুপুর ১২টার পরেই এই যোগদান হবে বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেসেই ছিলেন তিনি আগে। কিন্তু ২০১৬ সালে কংগ্রেসে বিদ্রোহ দেখিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন ভাল কাটেনি তাঁর। ২০২২-র বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই তাঁর বিরোধিতা শুরু হয় বিজেপির। বিশেষ করে পুস্প সিং রাওয়াতের সঙ্গে গন্ডগোল তৈরি হয়েছিল। তারপরেই ফের কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার
পুস্প সিং ধামি মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ইস্তক হরক সিংয়ের সঙ্গে বিরোধিতা শুরু হয়। সেই বিরোধ এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে হরক সিংকে সরানোর জন্য রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরেই বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল হরক সিংয়ের। কারণ বিধানসভা ভোটের কথা ঘোষণা হতেই কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছিলেন তিনি।
চাপ বাড়ছে বিজেপি
উত্তরাখণ্ডে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বিজেপি। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭০টি আসনের মধ্যে পেয়েছিল ৫৭টি আসন। কিন্তু দলে বিদ্রোহ প্রতিনিয়ত বাড়তে শুরু করে। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই পর পর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল ঘটানো হয়। তাতেই বোঝা যাচ্ছিল দ্বন্দ্ব বেড়েছে। সেই সুযোগে কংগ্রেস শক্তি বাড়াতে শুরু করে। লোকসভা উপনির্বাচনেই বোঝা গিয়েছে কংগ্রেস কতটা শক্তি বাড়িয়েছে। উল্টে চাপ বেড়েছে বিজেপির। এবিপি সি ভোটার সমীক্ষা বলছে উত্তরাখণ্ডে ফের সরকার গড়তে পারে কংগ্রেস।