বাংলায় এনআরসির জিগির তোলা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই, মোদীকে খোঁচা প্রাক্তন বিজেপি নেতার
বাংলায় এনআরসির জিগির তোলা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই। এমনই মত প্রকাশ করলেন আরএসএসের প্রাক্তন প্রচারক কে এন গোবিন্দাচার্য।
বাংলায় এনআরসির জিগির তোলা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই। এমনই মত প্রকাশ করলেন আরএসএসের প্রাক্তন প্রচারক কে এন গোবিন্দাচার্য। বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। এহেন গোবিন্দাচার্যের মুখের এই বাণী অস্বস্তিতে ফেলবে রাজ্য বিজেপিকে। তিনি এদিন সাফ করে দেন, বিজেপি রাজনৈতিক প্রচারের স্বার্থেই এনআরসির জিগির তুলছে।
গোবিন্দাচার্য কী মনে করেন
গোবিন্দাচার্য মনে করেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ইস্যুতে মোদী সরকারের আরও সংবেদনশীল ও মানবিক হওয়া উচিত। হওয়া উচিত দায়িত্বশীল। তিনি মনে করেন, এনআরসির বিরোধিতা কেউ করছেন না। সবাই-ই মানেন অনুপ্রবেশ একটা সমস্যা। কিন্তু অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা ঠিক নয়।
বাংলায় জিগির তোলার আগে
অসমে এনআরসির পর বাংলা, মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন জায়গায় এনআরসির জিগির তোলা হচ্ছে। অসমে ১৯ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। সেই সমস্যার আগে সমাধান করা উচিত। তারপর অন্য রাজ্যে এনআরসির ভাবনা-চিন্তা করুক। এনআরসি হোক, কিন্তু আটঘাট বেঁধে এবং সমস্ত দিক চিন্তা করেষ। মানুষকে বিপাকে ফেলা চলবে না।
মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করুক সরকার
এই বিপুল সংখ্যক বাদ পড়া মানুষকে নিয়ে প্রবীণ নেতা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করুক সরকার। মানুষের সমস্যা না করে এনআরসি করা হোক। আগে পরিকল্পনা করা হোক, বাদ পড়া মানুষদের কী ব্যবস্থা হবে। মাথার চাল কেড়ে নেওয়ার অধিকার একটা সরকারের নেই, তা মনে রাখা উচিত।
ধারাবাহিক তর্ক-বিতর্কের প্রয়োজন
গোবিন্দাচার্য এদিন গণতান্ত্রিকভাবে ধারাবাহিক তর্ক-বিতর্কের আয়োজনের পক্ষে মত প্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বাভিমান আন্দোলন নামে একটি সংগঠন চালান। এদিন দিল্লিতে সংগঠনেরত তরফে দেশের নানা সংকট নিয়ে দুদিন ব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এদিন অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রবীণ এই নেতা।
অর্থনীতিতে মন্দা, মোদীকে তোপ
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাশ্চাত্য দেশের অর্থনীতি অনুসরণ করতে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন। তিনি বলেন, আমরা যদি আমেরিকার অর্থনীতি অনুসরণ করি, অচিরেই আমরা ব্রাজিলে পরিণত হব। দেশের অর্থনৈতির উদারনীতির সমীক্ষা করা জরুরি।