‘ট্রেনে আগুন লাগানো বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর জন্য উপযুক্ত নয়’, মন্তব্য প্রাক্তন সেনাপ্রধানের
‘ট্রেনে আগুন লাগানো বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর জন্য উপযুক্ত নয়’, মন্তব্য প্রাক্তন সেনাপ্রধানের
কেন্দ্র স্বল্পমেয়াদী নিয়োগ নীতি 'অগ্নিপথ' প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর চাকরিপ্রার্থীরা। সেই বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসার আকার ধারণ করছে। কোথাও ট্রেন অবরোধ তো কোথাও ট্রেনের কামরায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেনাবাহিনীতে চাকরিপ্রার্থীদের এই আচরণে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল ভিপি মালিক। তিনি জানিয়েছেন, 'বিক্ষোভ চলাকালীন যে হিংসার পরিবেশ সৃষ্টিকারী গুণ্ডাদের নিতে আদৌ সেনবাহিনী আগ্রহী নয়।'
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও কোথাও সেই বিক্ষোভ হিংসার আকার ধারণ করেছেন। এই প্রসঙ্গে জেনারেল ভিপি মালিক সর্বভারতীয় সংবাদদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমাদের বুঝতে হবে সশস্ত্র বাহিনী একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। এটা কোনও কল্যানমূলক সংস্থা নয়। দেশের সেরা লোককে, যোগ্য ব্যক্তিকে এখানে থাকতে হবে।
দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁদের ওপর থাকে। এখন যাঁরা ট্রেন বাস পোড়াচ্ছেন, এমন প্রার্থীদের আমরা সেনাবাহিনীতে রাখতে চাই না।' পাশাপাশি তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের হতাশা সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, 'আমরা যখন নিয়োগ স্থগিত করে দিয়েছিলাম, সেই সময় অনেক প্রার্থী পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। এদের মধ্যে বেশ কিছু জন বয়স বাড়ার কারণে অগ্নিপথ প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাঁদের হতাশা, উদ্বেগ আমি বুঝতে পারছি।'
ভিপি মালিক অগ্নিপথ প্রকল্পটিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন। অগ্নিপথ প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এই প্রকল্পের অনেকগুলো ইতিবাচক দিক রয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার পর উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে। তবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার পরেই বোঝা যাবে কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে। সেই ত্রুটিগুলো সংশোধন করা যাবে।'
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, 'সেনাবাহিনীতে আইটিআই বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে। তাদের বোনাস পয়েন্ট দেওয়া হবে। সেনাবাহিনীতে এই ধরনের সদস্য চাই। এই ধরনের চাকরিপ্রার্থীদের মেয়াদের পর এক্সটেনশন দেওয়া হতেই পারে। কীরকম কাজ করছেন, তার ওপর সম্পূর্ণটা নিয়োগ করছেন।'
অগ্নিপথ প্রকল্প অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, সুর চড়ালেন প্রিয়াঙ্কা
বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সেনাবাহিনীতে চাকরি প্রত্যাশীদের বিক্ষোভে উত্তাল ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা ও দিল্লি থেকে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, রেল ও রাস্তা অবরোধ, বাসের কাঁচ ভেঙে দেওয়া, বিজেপি বিধায়ক বা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভের জেরে বহু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বহু ট্রেন দেরিতে চলছে বলে জানা গিয়েছে।