ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিজেপির আক্রমণ, জবাব দিল কংগ্রেসও
ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিদেশ থেকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন জনৈক সৈয়দ সূজা।
ইভিএম কারচুপি নিয়ে বিদেশ থেকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন জনৈক সৈয়দ সূজা। নিজেকে ইভিএম বিশেষজ্ঞ দাবি করে তিনি বলেছেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পুরোটাই ইভিএম কারচুপি হয়েছিল। তার জেরেই ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নানা প্রমাণ দেবেন বলেও তিনি দাবি করেছেন। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নতুন উন্নততর ইভিএম হ্যাক করা যায় না। অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে কমিশন।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কড়া আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। বলেন, গোটাটাই কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র। বিদেশের মাটি থেকে দেশের গণতন্ত্রকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। আর কংগ্রেস তাতে সায় দিচ্ছে বলে অভিযোগ রবিশঙ্করের।
বিজেপির অভিযোগ, প্রমাণ দেওয়ার দাবি করলেই তা দেওয়া হয়নি। তার ওপরে কপিল সিব্বল ওখানে কী করছিলেন, প্রশ্ন করেন রবিশঙ্কর। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেসের হয়ে গোটা ঘটনা নজরে রাখতেই সিব্বল ওখানে উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া এই ভিডিও কনফারেন্স ২০১৪ সালের দেশের জনমতের অপমান করেছে।
এর পাল্টা কপিল সিব্বল সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, একজন অভিযোগ করলে তার তদন্ত হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই রয়েছে যাতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর হয়। এই অভিযোগকে কোনও দলের বিরুদ্ধে না দেখে বরং গণতন্ত্রকে মাথায় রেখে তদন্ত হওয়া উচিত।
সিব্বলের দাবি, অভিযোগকারী ২০১৪ নির্বাচনের আগে কোথায় কাজ করেছেন, কাদের সঙ্গে কাজ করেছেন, কোথায় সংস্থার অফিস ছিল, তিনি কোথায় ছিলেন, কবে বিদেশে গিয়েছেন- এই সবই প্রমাণ স্বরূপ সকলকে দিয়েছেন। তাও যাচাই করা হোক। তাহলে তার সত্যতা জানা যাবে। যদি তা সত্য হয় তাহলে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত বলে সিব্বল মন্তব্য করেছেন।