'চিকিৎসা না করে ঘুষ চেয়েছে সবাই', ১০ মাসের মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
লখনৌ, ১১ অগাস্ট : ধর্ষণ হোক বা দলিতের উপরে অত্যাচার অথবা অন্য কোনও অনাচার, বারবার নানা কারণে খবরে শিরোনামে আসে উত্তরপ্রদেশ। এবারও যেমন হল। ১০ মাসের দুধের শিশু চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আরও ভয়ানক অভিযোগ এনেছেন মেয়ে হারা মা। [দলিত হওয়ায় মন্দিরে জল পেল না কিশোরী, ত্রিশূল নিয়ে বাবাকে তাড়া পুরোহিতের]
জানিয়েছেন, অসুস্থ শিশুপুত্রকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এনে চিকিৎসা তো পাননি, উল্টে যার কাছেই গিয়েছেন সেই ঘুষ চেয়েছে। এমনকী যে লোকটি ইঞ্জেকশন দিয়েছে, সে পর্যন্ত এসে ঘুষ চেয়েছে। [দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জাতীয় সঙ্গীত বাজে না এই স্কুলে!]
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনৌ শহর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরবর্তী বাহরাইচে। যদিও শেষপর্যন্ত শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। ইঞ্জেকশন দিতে দেরি হওয়ায় সে মারা গিয়েছে। ছেলের মৃতদেহ কোলে নিয়ে এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন সুমিতা দত্ত। [ফোন করে স্বামীকে 'তিন তালাক' দিলেন স্ত্রী!]
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তা সত্ত্বেও নামকে ওয়াস্তে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। [উর্দিধারী মদ্যপের কীর্তিতে ছিঃ! ছিঃ! রব উত্তরপ্রদেশে]
সুমিত্রা ও তাঁর স্বামী শিব দত্ত বাহরাইচের গ্রামে থাকেন। এলাকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালের শিশু বিভাগে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন তিনি। শিশুটির প্রবল জ্বর ও শারীরিক দুর্বলতা ছিল।
চিকিৎসককে দেখানোর পরে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়। এরপর প্রথমেই এক নার্স ঘুষ চেয়ে বসে। এরপরে একে একে সাফাইকর্মী, ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে সকলেই পালা করে ঘুষের দাবি করে কাজ করার বদলে। এরপরে এক মেডিক্যাল কর্মী ঘুষ চান ইঞ্জেকশন দেওয়ার বদলে। তা করতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। ততক্ষণে যা দেরি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। শিশুটি ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।