প্রত্যহ ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছাতে হবে দিল্লিতে! কেন্দ্রকে কড়া হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের
প্রত্যহ ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছাতে হবে দিল্লিতে! কেন্দ্রকে কড়া হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের
ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে করোনা 'সাইক্লোন'। এমতাবস্থায় 'প্যান-ইন্ডিয়া'-র ভিত্তিতে অক্সিজেন বণ্টনব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলার ইঙ্গিত কেন্দ্রকে আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি কেজরিওয়ালের আবেদনেও সাড়া দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাসমান দিল্লির অবস্থা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকে 'সুপ্রিম' নির্দেশ, রাজধানীতে প্রত্যহ ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের জোগানের ব্যবস্থা করতেই হবে কেন্দ্রকে!
আমরা কন্টেনার চালক নই : সুপ্রিম কোর্ট
দেশে সুষ্ঠুভাবে অক্সিজেন সমবণ্টনের লক্ষ্যে একটি তালিকা ও হিসাব নির্মাণ করেছে কেন্দ্র। সেই বিবৃতিতে দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহের খতিয়ান পর্যালোচনা করেই নির্দেশ দিয়েছে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এম আর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ, খবর সূত্রের। কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম চত্বরে হাজির হওয়া সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে বিচারকের বার্তা, "প্রথমে কেন্দ্র ৭০০ মেট্রিক টনের বরাদ্দ করলেও পরে কন্টেনার চালনা, পরিবহণ-ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে সরবরাহ কমিয়েছে। আমরা কন্টেনার চালক নই। আমি চাই প্রতিদিন যেন ৭০০ এমটি অক্সিজেন পৌঁছে যায় রাজধানীতে।"
'দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ', কেন্দ্রকে 'সুপ্রিম' শাসানি
শুনানি শুরুর আগে বিচারক এম আর শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা জানান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক চন্দ্রচূড়। "আমাদের আদেশ অনুযায়ী শুধু একদিন দিল্লিতে ৭০০ এমটি অক্সিজেন দিয়ে থেমে গেলে হবে না, আমরা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি যাতে প্রতিদিন রাজধানীতে ৭০০ এমটি অক্সিজেন পৌঁছে যায়", বার্তা জাস্টিশ চন্দ্রচূড়ের। পাশাপাশি কড়াভাবে বিচারকের বার্তা, "আমাদের কোনো দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য করবেন না।"
ইতিপূর্বে কৌশল বদলানোর 'সুপ্রিম' নির্দেশ কেন্দ্রকে
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের উত্তরে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সহমত পোষণ করেন এবং সকল নির্দেশাবলী সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান। যদিও অক্সিজেন সমস্যার কথা মাথায় রেখে ইতিপূর্বে ৫ই মে কেন্দ্রকে অক্সিজেন সরবরাহের ব্লু-প্রিন্ট বদলানোর নির্দেশ দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়। সেই আজ্ঞা বহনে কতদূর সফল কেন্দ্র, সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
কোউইন অ্যাপে এবার আসছে 'চার ডিজিট' এর নয়া ফিচার, ভ্যাকসিনেশন স্টেটাস ঘিরে বড় পদক্ষেপ
রাজধানীর আশঙ্কা দূরীকরণে সুপ্রিম বার্তা
অক্সিজেনের অভাবে যেরকম দুর্দশার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে দিল্লি, তার কারণ যে কেন্দ্রের দূরদর্শিতার অভাব, সে কথা মেনে নিচ্ছে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। যদিও আদালতের নির্দেশের পরেও অক্সিজেন সরবরাহের স্থান, অক্সিজেন বহন ও অক্সিজেন সমবণ্টনের প্রক্রিয়া কীভাবে চালনা করবে কেন্দ্র, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে যে ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন দিল্লিবাসী, সেই পরিস্থিতিতে এহেন 'সুপ্রিম' বার্তা যে একটু হলেও স্বস্তি এনে দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।