কেমন আছে কাশ্মীর? পরিস্থিতি যাচাইয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয়ান সংসদীয় প্যানেল
ইউরোপীয়ান সংসদীয় প্যানেল মঙ্গলবার কাশ্মীর সফরে যাচ্ছে। ২৮ সদস্যের সাংসদদের দল কাশ্মীরে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
ইউরোপীয়ান সংসদীয় প্যানেল মঙ্গলবার কাশ্মীর সফরে যাচ্ছে। ২৮ সদস্যের সাংসদদের দল কাশ্মীরে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও এনএসএ প্রধান অজিত ডোভাল তাদের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবেন বলেও জানা গিয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা তুলে নেওয়া হয়। তারপর থেকেই কাশ্মীরের জনজীবন স্তব্ধ বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন। যদিও সরকারের দাবি ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে উপত্যকায়।
এমন অবস্থায় ইউরোপীয়ান সংসদীয় প্যানেলের কাশ্মীর ভ্রমণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ একদিকে যেমন কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করা হচ্ছে, অন্যদিকে কাশ্মীরের মূল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
কাশ্মীরে গত প্রায় তিনমাস ধরে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, তিনি আশা করছেন কাশ্মীর ওপর থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাবে। কাশ্মীরকে বিপথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি ভারত সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতেও ছাড়েননি।
অভিযোগ, ৩৭০ ধারা বাতিলের আগের দিন থেকেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরই ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। সাত দশক পুরনো অস্থায়ী একটি অংশকে সরিয়ে ফেলে উন্নয়নের পথে কাশ্মীরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করা হয়।
তারপরই শান্তি রক্ষার স্বার্থে উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। পুলিশ ও সেনা গোটা উপত্যকায় টহলদারি চালিয়েছে। এখন দেখার কাশ্মীরে ইউরোপীয় প্যানেল ঘুরে এসে কী প্রতিক্রিয়া দেয়।