অমানবিক ইএসআই কর্তৃপক্ষ! কমিয়ে দেওয়া হল অগ্নিকাণ্ডে মৃতের ক্ষতিপূরণের অঙ্ক
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত অভিভাবককে ক্ষতিপূরণের ১০ লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি শিশুদুটি সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হওয়ায় তাদের অবস্থা খারাপ ছিল।
অমানবিক মুম্বইয়ের মারোল ইএসআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে হাসপাতালে লাগা আগুনে মৃত্যু হয়েছিল একসপ্তাহের এক শিশুর। যমজ এই শিশুর অপরজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত অভিভাবককে ক্ষতিপূরণের ১০ লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি শিশুটি সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হওয়ায় তার অবস্থা খারাপ ছিল। তাদের দাবি জন্মের পর থেকেই অবস্থা খারাপ থাকায় স্বাভাবিক নিয়মেই তার মৃত্যু হতো।
হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনার চারদিন পরে শিশুটির মৃত্যু হয়। ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুটি শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মৃত শিশুটির অভিভাবকদের হাতে ইতিমধ্যে দুলক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে ইএসআই-এর তরফ থেকে। যা নির্ধারিত ছিল আশঙ্কাজনক রোগীর ক্ষেত্রে। মিনিট খানেক পরে অনিল ও ললিতা লোগাভির হাতে একইমূল্যের দ্বিতীয় চেক তুলে দেওয়া হয় মৃতের ভাই-এর জন্য। যে হোলি স্পিরিট হাসপাতালে নিকুতে ভর্তি রয়েছে।
শিশুটির ২৭ বছরের মা কোনও ক্ষতিপূরণই শিশু হারানোকে পূরণ করতে পারবে না। কিন্তু কীভাবে ইএসআই কর্তৃপক্ষ বলতে পারে যে শিশুটি হাসপাতালে লাগা আগুনের কারণে মারা যায়নি। সেই প্রশ্ন করেছেন তিনি।
ওই হতভাগ্য দম্পত্তি জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিলি করছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত মেয়ের নাম ছিল আশঙ্কাজনকের তালিকায়।
এসি টেকনিশিয়ানের কাজ করা শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, ওই সময়ই তিনি ভুল ধরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযোগ, ইএসআই-এর অফিসার তখনকার মতো যা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে নিতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে ইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন তিনি।
আগুন লাগার তিনদিন আগে সিজার করে শিশুটির জন্ম হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শিশু কন্যার ওজন ছিল ৮০০ গ্রাম। যমজ শিশু পুত্রের ওজন ছিল ১.৫ কেজি। হাসপাতালে পরের তিনদিনে শিশুটির ওজন কমে ৬৫০ গ্রাম হয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শিশুটির মায়ের দাবি, ও সত্ত্বেও চিকিৎসকরা শিশুটিকে বাঁচানোর আশা দিয়েছিলেন।