বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নয়া সমীকরণ, রামবিলাসের বিদায়ে পরবর্তী কিংমেকারের কে?
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দলিত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা লোক জনশক্তি দলের নেতা রামবিলাস পাসোয়ান। বৃহস্পতিবার প্রয়াত হন তিনি। আর তাঁর বিদায়ের সঙ্গেই বিহার রাজনীতিতে এক বড় বদল আসতে চলেছে। এবং রামবিলাস না থাকায় নয়া সমীকরণ দেখা যাবে আসন্ন বিহার নির্বাচনে।
সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন
এদিকে সামনেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এবারের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও জেডিইউ আসন সমঝোতায় এলেও একলা চলো নীতি নিয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান। সম্প্রতি বিজেপি ও জেডিইউ চিরাগের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনাও করেছে। এই পরিস্থিতিতে রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুতে বড় ধাক্কা খেল বিহারের রাজনীতি।
৪২টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা
এদিকে বাবার ছত্রছায়া থেকে বেরিয়েই নীতীশ কুমারকে চমকে দিতে শুরু করেছেন চিরাগ পাসোয়ান। এদিন প্রথম দফায় ৪২টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসওয়ান। আর এই তালিকাতেও দলত্যাগী বিজেপি প্রার্থীদের উপর ভরসা রেখেছেন চিরাগ। নাম রয়েছে প্রাক্তন জেডিইউ নেতারও।
জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রেখেছেন চিরাগ
এলজেপির ৪২ জনের প্রার্থী তালিকায় ৯ জন মহিলা প্রার্থী রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ভোটের ময়দানে জাতপাতের খেলায় বিহার যে প্রতিবারই নতুন নতুন চমক দেয় তা সকলেরই জানা। গোটা প্রার্থী তালিকাতে উচ্চবর্ণের প্রার্থীদের পাশাপাশি তফসিলি, দলিত ও ওবিসি প্রার্থীদের ভারসাম্য রাখতে চেয়েছেন চিরাগ। এমতাবস্থায় জেডিইউ শিবিরকে বেকায়দায় ফেলতে এলজেপি নেতারা এই নয়া ছক কষেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
চিরাগকে সমর্থন করতেন রামবিলাসও
তবে অনেকেরই প্রশ্ন, রামবিলাস থাকলে কি চিরাগ এভাবে এনডিএর বিরুদ্ধে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন? তবে এই প্রশ্নের জবাব হল, রামবিলাস নিজের ছেলেকে সমর্থন জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই তিনি টুইট করে চিরাগের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখার কথা জানিয়েছিলেন। সেই সময় কিন্তু চিরাগ ইতিমধ্যেই নীতীশের বিরুদ্ধে নিজের বিষোদগার শুরু করে দিয়েছিলেন।
বিহার ভোটের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে
বিশেষজ্ঞদের মত, রামবিলাসের মৃত্যু আদতে বিহার ভোটের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কারণ এই মৃত্যুতে দলতিদের সহানুভূতি ভোট পেয়ে এগিয়ে যেতে পারেন চিরাগ। এবং বিহারের পরবর্তী কিংমেকার হয়ে উঠতে পারেন জুনিয়র পাসোয়ান। আদতে চিরাগ নীতীশের বিরোধী। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার কথা একবারও বলেননি চিরাগ। আগেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রে বিজেপি-র হাত ছাড়ার প্রশ্নই নেই। উল্টে বার্তা দেন, বিহার ভোটের পর বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়বে এলজেপি। সেজন্য কর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেন। তবে শুধু বাবাকে সামনে রেখে বিধানসভা নির্বাচনে কতটা সুবিধা করতে পারবেন চিরাগ, সেটাই এখন দেখার।
হাথরাস কাণ্ডে মুখোশ খুলল যোগীর পুলিশের, ইডির বক্তব্যে আদিত্যনাথের মাথায় হাত