চিন-পাকিস্তান উভয় সীমান্তেই সমান মনযোগ দিতে হবে, মন্তব্য সেনাপ্রধানের
সেনা প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলেই চিন সীমান্তে ভারতের উপস্থিতি জোরদার করার সওয়াল করলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারভানে। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেনাপ্রধান বলেন, 'আমার মনে হয় উত্তর এবং পশ্চিম, উভয় সীমান্তেই সমান মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে।'
|
'নিয়্ন্ত্রণরেখার উপর আমাদের গোয়েন্দাদের কড়া নজর রয়েছে'
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনেক জঙ্গি কার্যকলাপ রয়েছে মেনে নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, 'নিয়ন্ত্রণ রেখা খুবই সক্রিয়। আমাদের গোয়েন্দারা কড়া নজর রাখছে পরিস্থিতির উপর। তারা বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আমরা এই কড়া নজর দিচ্ছি পলেই একের পর এক পাকিস্তানের জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে সমর্থ হয়েছে।'
|
'উভয় দিকের সীমান্তেই সমান মনযোগী হতে হবে'
এরপর উভয় দিকের সীমান্তেই সমান মনযোগী হওয়া প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, 'যদি আমরা দেখি যে কোনও একটি সীমান্ত থেকে আমাদের উপর চাপ আসছে তবে সেনার সিংহভাগকে সেখানে পাঠানো হবে। তবে অপর প্রান্তকে ফাঁকা করে দেওয়া হবে না। সেখানেও পর্যাপ্ত পরিমাণে সৈন্য মোতায়েন থাকবে। যাতে সেই দিক দিয়েও যদি হামলা হয় তবে তা আমরা প্রতিহত করতে পারি। এই কারণেই আমাদের যুগ্ম টাস্ক ফোর্স রয়েছে।'
|
চিনের সঙ্গে হটলাইনে যোগাযোগের ব্যবস্থা স্থাপন
পাশাপাশি চিনের সঙ্গে খুব শীঘ্রই হটলাইনে যোগাযোগের ব্যবস্থা স্থাপন হবে বলেও জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, 'খুব শীঘ্রই ভারতের প্রতিরক্ষা কার্যকলাপের ডিরেক্টর ও চিনের পশ্চিম কমান্ডের মধ্যে এই হটলাইন ব্যবস্থা চালু হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা খুব শীঘ্রই সেনার ৬টি আপাচে চপারকে পশ্চিম সীমান্তে পাঠাব। সেখানে আমাদের সেনাকে সবসময়ই হুমকির সম্মুখীন হতে হয়।'
আগেও চিন সীমান্তে মনযোগী হওয়ার কথা বলেছিলেন সেনাপ্রধান
এর আগে জেনারেল মুকুন্দ জানিয়েছিলেন, অতীতে ভারতের বেশিরভাগ মনযোগই পশ্চিমে পাকিস্তানে সীমান্ত নিয়ে ছিল। তবে এখন পূর্বে চিন সীমান্ত নিয়েও ভাবার সময় এসেছে। তিনি বলেন, 'চিনের সঙ্গে আমাদেন সীমান্ত লাইন অফ অ্য়কচুয়াল কন্ট্রোল দ্বারা নির্ধারিত। তবে বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত রয়েছে। বিতর্কিত সেই এলাকাগুলি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অবশ্য আমরা গত কয়েক বছরে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি।'