মহামারী বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র! করোনা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ শিবসেনার
মহামারী বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র! করোনা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ শিবসেনার
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। হাজারও চেস্টা সত্ত্বেও গোটা দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে। এমতাবস্থায় করোনা সঙ্কট ঠেকাতে প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলল শিবসেনা।
করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রে দিকে আঙুল
বৃহষ্পতিপার শিবসেনার মুখপত্র সামানাতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে করোনা প্রতিরোধ কর্মসূচী ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে একাধিক প্রশ্নবান ছোঁড়া হয়। পাশাপাশি এর আগে বিজেপির দাবি অনুযায়ী এনডিএ জোটের নিয়ন্ত্রণাধীন ছাড়া অন্যান্য রাজ্য গুলিতে করোনা মোকাবিলার নামে দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছিল তারও তীব্র সমালোচনা করা হয় সামানাতে।
বিজেপি শাসিত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তোপ
সামানার সম্পাদকীয়র দাবি অনুসারে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়া পিছনে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি দেশের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদীরও যথেষ্ঠ দায়বদ্ধতা রয়েছে। সম্পাদকীয়তে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আরও বলা হয়েছে, "গুজরাট, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের মতো রাজ্যেও মহামারীর কারণে যথেষ্ঠ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরেরও অনেক জলঘোলা হচ্ছে। আমরা দিল্লিকে এই সম্পর্কিত তথ্য পাঠাতে রাজি আছি"।
রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ নিয়েও বিজেপি তোপ শিবসেনার
বর্তমানে কংগ্রেস ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বর্তমানে শিবসেনার জোট সরকার চলছে মহারাষ্ট্রে। পাশাপাপাশি এদিন অন্যান্য রাজ্যের সরকার গঠন নিয়ে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনের তারই একদা জোটসঙ্গী শিবসেনা। তোপ দাগা হয় মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও। শিবসেনার কথায় দল ভাঙিয়েই অন্য রাজ্যে সরকার গঠন করতে চেয়েছে শিবসেনা।
৩১শে অগাস্ট পর্যন্ত ফের লকডাউন গোটা রাজ্যে
এদিকে করোনা ঠেকাতে ইতিমধ্যেই গোটা মাহারাষ্ট্রের লকডাউনের সময়সীমা ৩১শে অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। লকডাউনের নতুন নির্দেশিকাগুলির অধীনে কেনাকাটা সহ একাধিক বিষয়ের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চিকিত্সার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে খবর। নতুন নির্দেশিকায় শপিং মলের মধ্যে রেস্তোঁরা গুলি খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। কিন্তু শুধুমাত্র হোম ডেলিভারিতেই ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
করোনা আবহে সব টাকা শেষ! জিএসটি বকেয়া নিয়ে সরকারের বার্তায় হাড়হিম রাজ্যগুলির