প্রজাতন্ত্র দিবস : আমন্ত্রণ পত্র ও টিকিট ছাড়া রাজপথের কুচকাওয়াজে প্রবেশ নিষিদ্ধ!
আমন্ত্রণ পত্র এবং টিকিট ছাড়া দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের প্রভাব এবং নাশকতার আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে আরও অন্যান্য কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। গোটা এলাকা ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

সবাই থাকতে পারবেন না
সরকারি আমন্ত্রণ পত্র যাঁদের কাছে থাকবে এবং যাঁরা টিকিট কাটবেন, তাঁরা ছাড়া অন্য কেউ দিল্লির রাজপথ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। করোনা ভাইরাসের প্রভাব ও নাশকতার হাত থেকে বাঁচতেই এই বিশেষ উদ্যোগ বলে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ পত্র ও টিকিট ছাড়া রাজপথে ভিড় না করে বাড়ি বসে টিভিতে অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।

১৫ বছরের নিচে কেউ না
দিল্লি পুলিশের তরফে এও জানানো হয়েছে যে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে ১৫ বছরের নিচে থাকা কোনও শিশুকে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ উপলক্ষ্যে দিল্লির রাজপথে আনা যাবে না। যাঁরা অনুষ্ঠান দেখতে ভিতর প্রবেশ করবেন, তাঁদের ক্যারি ব্যাগ, ব্রিফকেস, পিন, ক্যামেরা, বাইনোকুলার, হ্যান্ডিক্যাম, ল্যাপটপ, নোট প্যাড, পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও ডিজিট্যাল ডায়েরি বাড়িতে রেখে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমানো হয়েছে দর্শক সংখ্যা
গত বছর প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার মানুষ রাজপথে একসঙ্গে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। করোনা ভাইরাসের জন্য এবার অনুষ্ঠানের দর্শক সংখ্যা প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এবার রাজপথে সর্বাধিক ২৫ হাজার মানুষ হাজির হতে পারবেন। এবার শামিয়ানার সংখ্যাও কমিয়ে ১৯ করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফ্রি-এন্ট্রি।

নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে রাজপথ এবং দিল্লি তো বটেই দেশের সব সীমন্তবর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। জঙ্গি অনুপ্রেবেশ রুখতে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।