মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাট নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা-লোকসভাও, তৃণমূলের পাশে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা
মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাট নিয়ে উত্তাল সংসদের দুই কক্ষই। বৃহস্পতিবার সংসদের শুরু থেকেই এই ইস্যুতে রাজ্যসভা ও লোকসভায় সরব হয় তৃণমূল। আর দুই কক্ষেই তৃণমূল পাশে পেয়ে যায় কংগ্রেসকে
নয়াদিল্লি, ৩০ নভেম্বর : মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিভ্রাট নিয়ে উত্তাল সংসদের দুই কক্ষই। বৃহস্পতিবার সংসদের শুরু থেকেই এই ইস্যুতে রাজ্যসভা ও লোকসভায় সরব হয় তৃণমূল। আর দুই কক্ষেই তৃণমূল পাশে পেয়ে যায় কংগ্রেসকে। তৃণমূল ও কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধী দলগুলি একযোগে তদন্ত দাবি করেন।
দাবি তোলা হয়, শীঘ্রই তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করতে হবে, কী কারণে জ্বালানি ফুরিয়ে আসা একটি বিমান ল্যান্ডিং করতে ৪০ মিনিট দেরি হল?পাটনা থেকে কলকাতা ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী বিমান জরুরি অবতরণ করতে চেয়ে বার্তা পাঠালেও বিমান বন্দরে নামার অনুমতি দেয়নি এটিসি। সেই কারণে ৪০ মিনিট কলকাতার আকাশে চক্কর মারতে হয় 'ইন্ডিগো'র ওই বিমানকে।
সপার্ষদ মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ওই বিমানে এক শতাধিক যাত্রী ছিলেন। এত মানুষের জীবন সংশয়ের সম্ভাবনা ছিল, সব থেকে বড় কথা একটা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন বিমানে, তবু কেন এই গাফিলতি? জবাব চেয়েছেন বিরোধীরা। একযোগে তদন্ত দাবি করেছেন।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক ও'ব্রায়েন দাবি করেন, পাইলটের কাছ থেকে জরুরি বার্তা পাওয়ার পরও এটিসি ওই বিমান ল্যান্ডিং করাতে ৪০ মিনিট সময় নিয়ে নেয়। এর মধ্যে চক্রান্ত রয়েছে। বিমান বন্দরে নেমেই অভিযোগ জনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সংসদে প্রকৃত তদন্তের দাবি তুললেন সাংসদরা। প্রশ্ন উঠল, একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেন এমনটা করা হল? প্রশ্ন তুললেন ডেরেক।
লোকসভায় একই দাবি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী-সহ এক শতাধিক মানুষের জীবন সংশয় দেখা দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও জরুরি ভিত্তিতে বিমান ল্যান্ড করানো হয়নি। এই ঘটনার অবিলম্বে তদন্ত শুরু হোক। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গুলাম নবি আজাদ, রাজীব শুক্লারাও তদন্তের দাবিতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ান।
মায়াবতী থেকে শুরু করে শরদ যাদবরাও তদন্ত দাবি করে প্রকৃত সত্য উত্থাপন করতে বলেন। গুলাম নবি আজাদ বলেন, এই ঘটনায় তদন্তের প্রয়োজেন। শাসক পক্ষে মুক্তার আব্বাস নকভি জানিয়েছেন, তদন্ত হবে, দোষ প্রমাণ হলে উপযুক্ত শাস্তিও দেওয়া হবে।