করোনা সংকট কাটিয়ে অর্থনীতি ফিরছে নির্দিষ্ট পথে! ইপিএফও দিয়ে পরিস্থিতি মাপছে কেন্দ্র
ভারতের অর্থনীতিতে উৎসাহজনক লক্ষণ। মার্চ-এপ্রিল থেকে যেসব সংস্থা ইপিএফ-এ তাদের অবদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, তারা আবার সেই কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় ১, ৫৩০০০ টি সংস্থা এই কাজ করেছে।
ভারতের অর্থনীতিতে উৎসাহজনক লক্ষণ। মার্চ-এপ্রিল থেকে যেসব সংস্থা ইপিএফ-এ তাদের অবদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল, তারা আবার সেই কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় ১, ৫৩০০০ টি সংস্থা এই কাজ করেছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতেই প্রায় ৬৪ হাজার সংস্থা তাদের অবদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা এখনও সেই কাজ শুরু করেনি। ফলে ধরেই নেওয়া যায় পুরোপুরি কাজ শুরু হতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগবে।
স্নেহের কাননকে তৃণমূলে চান মমতা! শোভনের ঘাসফুল শিবিরে ফেরা যেভাবে ভেস্তে গেল
এপ্রিল থেকে কমে গিয়েছিল অবদানের পরিমাণ
ইপিএফ-এর মাধ্যমে কর্মীদের জন্য সরকারের অবসর ফান্ডে টাকা জমা দেয় বেসরকারি সংস্থাগুলি। ফেব্রুয়ারিতে এইরকম সংস্থার সংখ্যা যেখানে ছিল ৫,৫০,০০০ টি। সেখানে এপ্রিলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৩৩২,৭০০টিতে।
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি
ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় ১, ৫৩০০০ টি সংস্থা ইপিএফ-এ তাদের অবদান জমা দিয়েছে। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর থেকেই পরিষ্কার ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এর মধ্যে গাড়ি শিল্প আগের থেকে ভাল কাজ করছে।
শ্রমিক সংখ্যার নিরিখে অবস্থান
সরকারি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, এপ্রিলের শেষ থেকে অগাস্টের শুরুর মধ্যে ৮০ লক্ষের ওপর কর্মচারীর ইপিএফ বাকি পড়েছিল। যেখানে এপ্রিলে ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ কর্মীর ইপিএফ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ছিল, সেখানে জুলাইয়ের শেষে সক্রিয় থাকার পরিমাণ ৪ কোটি ৬২ লক্ষ।
শ্রমিক কল্যাণে ইপিএফও
কোনও সংস্থায় ২০ কিংবা তার বেশি কর্মী থাকলেই সেই সংস্থাকে ইপিএফওতে বাধ্যতামূলক নাম লেখাতে হবে। ইপিএফও-র অধীনে কোনও কর্মীর বেসিক স্যালারির ১২ শতাংশ দিতে হয়। অন্যদিকে নিয়োগ কর্তাও সমপরিমাণ অর্থাৎ সেই ১২ শতাংশ টাকা দিয়ে থাকেন। কর্মীর ১২ শতাংশ টাকার পুরোটাই চলে যায় ইপিএফও-র ডিপোজিটে। অন্যদিকে নিয়োগকর্তার দেওয়া টাকার ৮.৩৩ শতাংশ চলে যায় পেনশন প্রকল্পে।