ভোট প্রচারে গিয়ে 'বিড়ম্বয়না'য় বাবুল! 'ফাঁকা' চেয়ার দেখে সভা ছাড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
সোমবার চলছে ভোট। তার আগে শনিবার ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার ভোট প্রচার শেষ হয়। এই দফাতেই ভোট প্রচারে গিয়ে বিড়ম্বনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
সোমবার চলছে ভোট। তার আগে শনিবার ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার ভোট প্রচার শেষ হয়। এই দফাতেই ভোট প্রচারে গিয়ে বিড়ম্বনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। নির্বাচনী প্রচারের জন্য সরাসরি রাজধানী থেকে যান ছত্তিশগড়ে। রায়পুর দক্ষিণ কেন্দ্রের কালীবাড়িতে প্রচারে গিয়ে দেখেন ফাঁকা চেয়ার। যেন ফাঁকা চেয়ারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিবাদন জানায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি দেখে প্রচার না করেই ঘটনাস্থল ছাড়েন বাবুল সুপ্রিয়।
১৯৯০ সাল থেকে বিধায়ক ব্রিজমোহন আগরওয়াল। ছয় বারের বিধায়ক। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীও বটে। এমনই হেভিওয়েট নেতার প্রচারে রায়পুর গিয়েছিলেন বাবুল। চেয়ার ফাঁকা থাকার জন্য কারণ ব্যাখ্যাও করেন রাজ্যের ওই মন্ত্রী। যদিও তাতেও কোনও কাজ দেয়নি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাবুল সুপ্রিয় শুধু বলেন, আগরওয়াল সপ্তমবারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হবেন।
[আরও পড়ুন: মহিলাদের প্রতি অবহেলা! ভোটের মুখে ছত্তিশগড়ের কোরবায় 'অভিযুক্ত' সবদলই]
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রচারস্থল ছেড়ে যাওয়ার আগে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, রাজ্যে বিজেপি গত ১৫ বছর ধরে নির্বাচনে জিতছে। সেই জন্য তাঁর প্রচারের কোনও দরকার নেই। কেননা সেখানে থাকা মানুষ বুঝে গিয়েছেন সবকিছুই।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রার্থীর দিকে তাকিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আগরওয়ালই এখানকার জয়ী প্রার্থী। সেই সময় হাসছেন ওই মন্ত্রী। স্লোগান দিতে শুরু করেন মন্ত্রীর সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন:সংগঠন শক্তিশালী নয়! রাজ্যের ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত এই দলের]
বাবুল সুপ্রিয় কালীবাড়ি গিয়েছিলেন বাঙালি ভোটারদের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের দণ্ডকারণ্য প্রোজেক্টের অধীনে ১৯৫০ সাল এবং তার পরবর্তী পর্যায়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা একটা বড় সংখ্যক বাঙালিকে মধ্য ভারতের এই জায়গায় স্থান দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোট শুরুর আগে বড় ধাক্কা! দল ছাড়লেন কংগ্রেসের সহসভাপতি]