বেকারত্বের হার বেড়ে সর্বকালীন রেকর্ড! করোনার দংশনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কর্মসংস্থান
করোনাভাইরাস মহামারী এ দেশের বুকে থাবা বসানোর পর থেকেই আরও গ্রাস করেছে অর্থনৈতিক মন্দা। পরিস্থিতি বর্তমানে এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে, ভারতের মার্চ মাসে কর্মসংস্থানের হার সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারী এ দেশের বুকে থাবা বসানোর পর থেকেই আরও গ্রাস করেছে অর্থনৈতিক মন্দা। পরিস্থিতি বর্তমানে এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে, ভারতের মার্চ মাসে কর্মসংস্থানের হার সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছে। বেকারত্বের হার প্রথমবারের মতো দ্বিগুণ সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতে। বেকারত্বের হারের পরিসংখ্যানে দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে।
সেন্টার ফর মনিটরিং ইকোনমি বা সিএমআইই থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২৯ শে মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে বেকারত্বের হার প্রায় তিনগুণ বেড়ে ২৩.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পরের সপ্তাহে তা ২৩.৪ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল। জানুয়ারীর পর থেকে বেকারত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রথম ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পরই এই পরিসংখ্যান লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
মার্চ মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। অথচ বর্তমানে ৪৩ মাসের মধ্যে দেশের বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৭.১৬ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। মুম্বাই-ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।
সিএমআইই জানিয়েছে, মার্চে কর্মসংস্থান হার সর্বকালের সর্বনিম্ন বর্তমানে। দেশ লকডাউন পিরিয়ডে যাওয়ার পরে আরও খারাপ হয়ে যায় পরিস্থিতি। এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি আর। লকডাউ বর্ধিত হওয়ার আরও বাড়বে ভারতের বেকারত্ব।
ভারত এর আগে শহরাঞ্চলে দ্বি-সংখ্যার বেকারত্বের হারের কথা জানিয়েছে। তবে গ্রামীন ভারতে এর আগে কখনও এমনটা হয়নি। দেশব্যাপী লকডাউন সেটি বদলে গিয়েছে। লকডাউনের কারণে কৃষি কার্যক্রম স্থগিত থাকায় গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব ১৩.০৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে শহরাঞ্চলে এটি ১৪.৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে।