ভুল করেছিলাম, কাশ্মীরে কিছুই বদলায়নি...! বিক্ষোভের আগুন ছড়াচ্ছে উপত্যকা জুড়ে
কাশ্মীরে পরপর জঙ্গি হামলার ঘটনা। গত মাস খানেকের মধ্যে একাধিক সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ভিনরাজ্যের কর্মীদের নিশানা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই এবার একে একে অনেকেই চলে যেতে চাইছেন কাশ্মীর ছেড়ে। তাঁদের যাতে বাড়ি
কাশ্মীরে পরপর জঙ্গি হামলার ঘটনা। গত মাস খানেকের মধ্যে একাধিক সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ভিনরাজ্যের কর্মীদের নিশানা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই এবার একে একে অনেকেই চলে যেতে চাইছেন কাশ্মীর ছেড়ে। তাঁদের যাতে বাড়ির কাছে বদলি করে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়েই বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামেন অনেকে।
মঙ্গলবারই রজনী বালা নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ছবি হাতে নিয়েই এ দিন রাস্তায় নামেন একদল কর্মী। তাঁদের দাবি, যতদিন পর্যন্ত সরকার তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করতে পারবেন, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা অফিসে কাজে যোগ দেবেন না। জম্মুর বিভিন্ন জেলার অন্তত ৮০০০ কর্মী এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এদিন।
তাঁদের দাবি, অন্তত ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন তাঁরা, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের আতঙ্ক বাড়ছে। শুধু তাই নয়, এদিন রজনী বালা নামে ওই স্কুল শিক্ষিকার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনও করেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, রজনীর মেয়ের জন্য একটা সরকারি চাকরি দিতে হবে।
রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার এ দিন জানান, হিন্দু, মুসলিম, শিখ কেউ এখানে নিরাপদে নেই। প্রত্যেকেরই প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে। অঞ্জনা বালা নামে আর এক শিক্ষিকা বলেন, তাঁদের কোনও সরকারি থাকার জায়গা বা পদোন্নতির প্রয়োজন নেই, তাঁরা শুধু চান যাতে তাঁদের দ্রুত বদলি করা হয়। তিনি আরও জানান, স্থানীয় মানুষ সবসময় তাঁদের পাশেই থেকেছেন, তাঁদের কোনও অসুবিধাই হয়নি কখনও।
তাঁর দাবি, কাশ্মীরের মানুষ যখন ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তখন তাঁরা কাশ্মীরিদের সমর্থন করেননি। কিন্তু আজ বুঝতে পারছেন সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র স্পেশাল স্টেটাস তুলে নেওয়া ছাড়া কাশ্মীরের জন্য আর কিছুই করা হয়নি। যদিও মোদী সরকার বারবার কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসার দাবি করেছে। কিন্তু যত দিন এগোচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
এই অবস্থায়৩ জুন আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা'র সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকি এই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে অজিত দোভালেরও। এছাড়াও সেনা প্রধান সহ একাধিক সরকারি আধিকারিকও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
মূলত কোনও পথে শান্তি ফেরানো যায় সেটাই এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য বলে জানা যাচ্ছে।