নীতি আর রাজনীতির মিশেল! ২০১৯-এর ভোটের আগে মোদীর শেষ স্বাধীনতার ভাষণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
নীতি ও রাজনীতি। সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দুয়ের মিশেলেই হতে চলেছে এবারের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের অংশ। ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে এটাই লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভাষণ।
নীতি ও রাজনীতি। ওয়ান ইন্ডিয়ার কাছে সূত্রে থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দুয়ের মিশেলেই হতে চলেছে এবারের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের অংশ। ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে এটাই লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভাষণ। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের দিকে লক্ষ্য রয়েছে সকলের। ফলে যে তা ভারসাম্যেরই হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আগের চারটি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সেখানে কোনও না কোনও বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এবারের ঘোষণায় থাকতে চলেছে, দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন। মোদীর ভাষণে সম্ভবত দরিদ্রদের সুযোগ এবং ক্ষমতায়ন বড় ভাবে উল্লেখ হতে চলেছে। ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিঁধতে পারেন বিরোধীদের। বিরোধীদের ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতিতে দরিদ্রদের কোনও সাহায্য করছে না, তা তুলে ধরতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সংখ্যালঘুদের নিয়ে শুনতেও ইচ্ছুক। তাঁদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে থাকতে পারে তিন-তালাক ইস্যুর কথা।
ভোট ব্যাঙ্কের তুলনায় আসল কাজের প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং বিশ্বাসের প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসতে পারে, সরকারের কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দৃঢ়তার কথাও।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে থাকতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশনের বাকি থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা। তবে মূল জোড় থাকবে দরিদ্রদের ক্ষমতায়নে।
[আরও পড়ুন:অনুপ্রবেশকারীদের স্থান কোথায়! নাম না করে শাসকদলকে যা বললেন দিলীপ ]
[আরও পড়ুন:এবার কন্যাশ্রীর আওতায় সবাই! নানা সুবিধার কথা ঘোষণায় মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন বিস্তারিত]
আগের চার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সারাংশ
- ২০১৪-তে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী স্বচ্ছ্ব ভারত, জনধন যোজনা, মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলেছিলেন।
- ২০১৫-র স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ এবং একপদ এক পেনশনের কথা বলেছিলেন।
- ২০১৬-র স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গ্রামীন রাস্ত তৈরি, ব্যবসা ও চাবাহার বন্দরের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলেন।
- ২০১৭-র স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নিউ ইন্ডিয়া এবং গোরক্ষকদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বাসের নামে হামলাকে বরদাস্ত করা হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।