কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহার, ভারতের পর হু–এর থেকে শীঘ্রই অনুমোদনের আশা সিরামের
ভারতে পর এবার সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া আশা করছে হু–ও তাদের খুব শীঘ্রই জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে দেবে। এর ফলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন মাঝারি ও নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য তৈরি করতে পারবে সিরাম।

সিরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেন, 'জরুরি ব্যবহারের লাইসেন্স হুয়ের পক্ষ থেকে শীঘ্রই উপলব্ধ হবে এবং তা পরবর্তী এক–দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যাবে আশা করছি, কারণ আমরা সবকিছু জমা দিয়েছি।’ পুনাওয়ালা এও জানিয়েছেন যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক, তাঁর সংস্থা সিরাম নোভাভ্যাক্স করোনা ভ্যাকসিনের কয়েক লক্ষ ডোজ এপ্রিল থেকে মজুদ রাখতে শুরু করবে। পুনাওয়ালা বলেন, 'প্রতি মাসে ৪–৫ কোটি নোভাভ্যাক্সের ডোজ মজুত করে রাখার চেষ্টা করব আমরা।’
মঙ্গলবার ভোররাতে পুনের সিরাম থেকে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের ডোজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শনিবার থেকে দেশে শুরু হবে করোনা ভ্যাকসিন ড্রাইভ। যেখানে ৩ কোটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও সামনের সারির কর্মীদের টিকাকরণ করা হবে প্রথম। সিরামের পক্ষ থেকে সরকারকে বিশেষ ২০০ টাকা মূল্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজ বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে সিরাম। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণের ব্যয় বহন করবে খোদ কেন্দ্র সরকার।
