ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরানো নিয়ে সমীক্ষা করলেন মাস্ক, তবেই ফেরালেন পেজ
ট্রাম্পের টুইটারের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তবে এই অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেবার আগে এটা নিয়ে টুইটার ব্যাবহারকারীদের থেকে তাদের মতামত জানতে চান মাস্ক। ট্রাম্পের পক্ষে দেখা যায় অনেক বেশি ভোট পড়েছে। এরপরেই তিনি ট্রাম্পের টুইটার ব্যান তুলে নেন।
সমীক্ষা
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এক বড় সমীক্ষা করেন ইলন মাস্ক। আর সেখানে দেখা যায় যে ২৩৭ মিলিয়ন টুইটার ব্যাবহারকারীদের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন মানুষ এই ভোটে অংশ নেন। একদম গায়ে গায়ে ছিল এই ভোটের ফল। প্রায় সমান সমান হয়ে যাচ্ছিল ভোটের পরিমান। ৫১.৮ শতাংশ ভোট পড়ে ট্রাম্পের পক্ষে, ৪৮.২ শতাংশ ভোট পড়ে ট্রাম্পের বিপক্ষে।
এরপরে টুইটার ফেরত দেওয়া হয় ট্রাম্পকে। সেই সময় ৮৮ মিলিয়ন ট্রাম্পের ফলোয়ার ছিল। সেই সময় তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছিল এই অভিযোগে যে তিনি টুইটারকে তিনি মুখপাত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন। বলা হয়েছিল যে, তিনি বিপক্ষকে এখান থেকে হামলা করা ছাড়াও মানুষের সঙ্গে সংযোগের পথ হিসাবে টুইটারকে ব্যবহার করছেন।
ফিরবেন না সোশ্যাল মাধ্যমে
তবে ট্রাম্প আবার এই সোশ্যাল মাধ্যমে ফিরবেন না বলছেন। তিনি ব্যবহার করছেন ট্রুথ নামক এক সোশ্যাল মাধ্যম। সেখানেই থাকতে চান বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে এখনও সমস্যায় রয়েছে টুইটার। সৌজন্যে ইলন মাস্ক। তিনি টুইটার কেনবার পর থেকেই চলছে নানা বিতর্ক। প্রথমে তিনি টুইটার থেকে ছাঁটাইয়ের কথা বলেন। তারপর খবর মেলে ৭৫ শতাংশ ছাঁটাই করবেন তিনি। তিনি নিজে এসে বলেন এমনটা হচ্ছে না।
ছাঁটাই
তারপর দেখা যায় শুরু হয়েছে ছাঁটাই। যাদের কাছে সংস্থার মেল যায় তাঁদের রেখে দেওয়া হয়। আর যাদের কাছে তার মেল যায়নি তাঁরা হয়ে যান ছাঁটাই। এরপর দেখা যায় যে বিতর্ক হয় ব্লু টিক নিয়ে। সেখানে বলা হয় ২০ ডলার করে দিতে হবে। শেষে অনেক জোরাজুরিতে এবং টুইটারের ব্যবহারকারীদের বিদ্রোহে দাম কমিয়ে আট ডলার করা হয়।
প্রশ্ন
এরপর শুরু হত আরেক সমস্যা। প্রশ্ন ওঠে যে কীভাবে ব্লু টিক দেওয়া হয়েছিল। দেখা যায় অ্যালাউন্টের কোনও ঠিকঠাক জায়গা নেই বিশ্বস্ততা নেই তাঁরা পেয়ে রয়েছে ব্লু টিক। এরপরেই তাঁরা বলতে থাকে যে কেন তাঁরা টাকা দেবেন। আসলে ব্লু টিক পড়ে গিয়েছিল যীশুর অ্যাকাউন্টে। তিনি নাকি টুইট করছেন। আর এতেই বিতর্ক তৈরি হয়।