তিনদিন অন্তর কেরলে হাতি হত্যা হয়, মালাপ্পুরমে হাতির কাণ্ডে সরব মানেকা গান্ধী
তিনদিন অন্তর কেরলে হাতি হত্যা হয়, মালাপ্পুরমে হাতির কাণ্ডে সরব মানেকা গান্ধী
কেরলে এক গর্ভবতী হাতিকে বাজি ভরা আনারস খাইয়ে হত্যার ঘটনায় সরব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। নৃশংস এই ঘটনার সমালোচনায় মুখর সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। এবার সরব হলেন বিজেপি নেতা তথা পশু অধিকার কর্মী মানেকা গান্ধী। তিনি বুধবার জানিয়েছেন, মালাপ্পুরমে গর্ভবতী হাতিক নৃশংসভাবে মেরে দেওয়ার পরও কেরল সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি।
গর্ভবতী হাতিকে বাজি–ভরা আনারস খাওয়ানো হয়
মালাপ্পুরম জেলার বন দপ্তরের এক আধিকারিক মঙ্গলবার ফেসবুকে এই নির্মম ঘটনা শেয়ার করার পর তা প্রকাশ্যে আসে। তিনি জানিয়েছেন, গর্ভবতী এক বন্য হাতি জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে কাছের গ্রামে খাবারের সন্ধানে এসেছিল। সে যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল, স্থানীয়রা তাঁকে বাজি-ভরা আনারস খেতে দেয়। ওই ফল মুখে দিতেই ফাটতে শুরু করে এবং হাতিটি যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা যায়। মারা যায় তার গর্ভের সন্তানও।
হিংসাত্মক জেলা মালাপ্পুরম
মানেকা গান্ধী জানান, ভারতের মধ্যে সবচেয়ে হিংসাত্মক জেলা হল মালাপ্পুরম। কেরলে প্রত্যেক তিনদিন অন্তর হাতিদের হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, ‘এটা খুন, মাললাপ্পুরম এ ধরনের ঘটনার জন্য বিখ্যাত। এটা ভারতের সবচেয়ে হিংসাত্মক জেলা। এখানকার বাসিন্দারা এতটাই নিষ্ঠুর যে তারা রাস্তায় বিষ ছড়িয়ে রাখে যাতে ৩০০-৪০০ পাখি ও রাস্তার কুকুর তা খেয়ে মারা যায়।' মানেকা বলেন, ‘মালাপ্পুরমের ঘটনার বিরুদ্ধে কেরল সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি, মনে হচ্ছে তারা ভয় পেয়েছে। কেরলে প্রত্যেক তিনদিন অন্তর হাতিদের মারা হয়। ভারতে ২০ হাজারেরও কম হাতি রয়েছে এবং তারা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।'
বনমন্ত্রীর অপসারণের দাবি
মানেকা গান্ধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দিকে প্রশ্ন তুলে দাবি করেছেন যে দ্রুত বন সচিব ও সংশ্লিষ্ট মন্তঞরীকে অপসারণ করা হোক। মানেকা বলেন, ‘বন সচিবের সরে যাওয়া উচিত, যদি বনমন্ত্রীর কোনও অনুভূতি থাকে তবে তারও সরে যাওয়া দরকার। রাহুল গান্ধী এই এলাকার, তিনি কেন কোনও পদক্ষেপ করছেন না।'
সারা শরীরে যন্ত্রণা সত্ত্বেও কারোর ক্ষতি করেনি হাতিটি
জানা গিয়েছে যে বাজির বিস্ফোরকের ফলে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত হয় এবং সে ওই যন্ত্রণা নিয়েই হাঁটতে থাকে। ফেসবুকে বন দপ্তরের ওই আধিকারিক বলেন, ‘যন্ত্রণা নিয়ে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর সময়ও ওই হাতিটি কারোর ক্ষতি পর্যন্ত করেনি। সে কোনও ঘর ভাঙেনি। এইজন্যই আমি বলছি তাঁর মধ্যে পূর্ণ ধার্মিকতা ছিল।'
১৫ দিনে ১ লাখ বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! ভারতের পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে